এই সময়ে ভ্রমণে কোথায় যাবেন, কেন যাবেন
Published: 7th, October 2025 GMT
দেশে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হেমন্ত ও শীত—মূলত এই দুটি ঋতুর দেখা পাওয়া যায়। শীতকে ভ্রমণপ্রেমীদের প্রিয় ঋতু বলেই ধরে নেওয়া হয়। শীতের আমেজে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ তো আলাদা বটেই, তবে হৃদয়ে প্রশান্তির ছোঁয়া পেতে হেমন্তের জুড়ি নেই। যাঁরা প্রকৃতিকে গভীরভাবে অনুভব করতে চান, তাঁরা হেমন্তকে রাখতে পারেন পছন্দের তালিকার শীর্ষে।
তবে শুধু ঘুরতে বের হয়ে গেলেই কিন্তু হবে না, খেয়াল রাখতে হবে কোন সময়ে কোথায় গেলে ভ্রমণ হবে সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা কোনো জায়গায় শুধু জনপ্রিয়তার গল্প শুনেই ঘুরতে চলে যাই। সেখানে যাওয়ার পর হয়তো অনেকেরই মন ভরে না। আবার পর্যটন মৌসুমে এসব জায়গায় মানুষের সমাগম বেশি থাকে। তবে এমন বেশ কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো যায়, কাটানো যায় নিজের মতো মানসম্মত সময়। তেমনই কিছু ভ্রমণ স্থান সম্পর্কে জানা যাক।
১.তেঁতুলিয়া
এই সময়টি উত্তরের জেলাগুলো ঘুরে আসার জন্য একেবারেই আদর্শ সময়। দেশের অন্য জেলাগুলোর চেয়ে উত্তরে, বিশেষভাবে পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ শুরু হয়ে যায় কিছুটা আগে থেকেই। এখানে দিন শুরু হয় সকালের হালকা কুয়াশায় দূর্বাঘাসের ওপর পড়ে থাকা শিউলি ফুলের স্বর্গীয় ঘ্রাণ দিয়ে। সেই সঙ্গে নতুন গাছের খেজুরের রস আর নবান্নের নতুন চালের রকমারি পিঠা তো আছেই। রাস্তার মোড়ে সাজানো থাকে পিঠার পসরা। বিকেল-সন্ধ্যাগুলো সেজে ওঠে অপরূপ সাজে। যার বর্ণনা লেখার ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, নিজ চোখে এসব দৃশ্য অবলোকন করতে হবে। একা বা বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে চলে যেতে পারেন তেঁতুলিয়ার প্রাচীন কোনো রাস্তায়, যেখানে বিকেলের আকাশে ভেসে ওঠে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য। দূরের সেই হিমালয় উঁকি দিয়ে জানান দেয় তার রহস্যঘেরা অস্তিত্ব। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় দিনই পশ্চিম আকাশে খালি চোখে এখান থেকে দেখতে পাবেন এ দৃশ্য। সেই সঙ্গে পাবেন রাস্তার ধারে সারি সারি চায়ের বাগান। এর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। এ ছাড়া ঘুরে আসতে পারেন মহানন্দা নদী, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো ও বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট।
২. নলজুড়িসিলেটের গোয়াইনঘাটের ছোট্ট জনপদ নলজুড়ি। নলজুড়ির দৃশ্য কিছুটা ভারতের কাশ্মীরের সঙ্গে মিল রয়েছে, তাই অনেকেই একে বলেন ‘বাংলার কাশ্মীর’, আবার কেউ বলেন ‘সিলেটের পেহেলগাম’। এই ছোট জনপদটির প্রধান আকর্ষণ হলো বিশাল সবুজ খেলার মাঠ, যা স্থানীয়ভাবে নলজুড়ি খাসিয়া হাওর খেলার মাঠ নামে পরিচিত। যাঁরা জীবনের ব্যস্ততায় ক্লান্ত, তাঁরা এই সময়ে একঘেয়ে জীবনের সব ক্লান্তি মেটাতে কিছুদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন এই এলাকা থেকে। নলজুড়ির দিগন্তজুড়ে মেঘালয়ের সবুজ পাহাড় এবং টিলার সমাহার এটিকে এক মনোরম উপত্যকার রূপ দিয়েছে। বছরজুড়েই প্রকৃতির অপার এক সৌন্দর্যের পসরা বিছিয়ে বসে থাকে নলজুড়ি। জাফলং-তামাবিল সড়কের কাছে অবস্থিত এই শান্ত ও কোলাহলমুক্ত স্থানটি প্রকৃতিপ্রেমী ও আলোকচিত্রীদের জন্য এক নতুন ঠিকানা।
৩. সোনাদিয়া দ্বীপসমুদ্রবিলাসীদের জন্য সোনাদিয়া দ্বীপ একটি আদর্শ ভ্রমণ-গন্তব্য। তিনদিকে সমুদ্রঘেরা এই চরটির ম্যানগ্রোভ বন এবং দুর্লভ জীববৈচিত্র্যই ভ্রমণপিপাসুদের টানে। গোধূলির সময় সমুদ্রসৈকতে লাল কাঁকড়ার বিচরণ, সাগরলতায় ঢাকা বালিয়াড়িতে কাছিমের আনাগোনা, খোঁয়াজকৈতর, বদরকৈতর, সরুঠোঁটি গঙ্গাকৈতর, গুলিন্দা, টিটি জিরিয়া, মধুবাজ, কানি ও যাঠুয়া বকসহ বিভিন্ন ধরনের গাঙচিলের দেখা পাওয়া যায় শীতের মৌসুমে। শীতের শুরু থেকে বসন্তকাল অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়। এই সময়টিতেই এখানের পরিবেশ ও আবহাওয়া ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে অনুকূল থাকে। সেই সঙ্গে আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হলো ‘ক্যাম্পিং’। পূর্ণিমা রাতে এখানে ক্যাম্পিং হতে পারে আপনার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে একটি।
৪. মহামায়া লেকবাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের মিরসরাইয়ে অবস্থিত একটি মনোরম কৃত্রিম জলাধার। পাহাড়ঘেরা সবুজ প্রকৃতির বুকে তৈরি লেকটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক হিসেবে পরিচিত। মূলত সেচ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্দেশে তৈরি হলেও বর্তমানে এটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। লেকের চারপাশে পাহাড়, ঝরনা আর সবুজ বন ভ্রমণপিপাসুদের টানে। এখানে নৌকা ভ্রমণ, কায়াকিং, সুইমিং, ক্যাম্পিংসহ নানা রোমাঞ্চকর কার্যক্রম উপভোগ করা যায়। লেকের পাশেই রয়েছে ছোট-বড় ঝরনা, যার জলধারা এর সৌন্দর্যকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। একঘেয়ে জীবনের ক্লান্তি এড়াতে এই সময়ে ঘুরে আসতে পারেন মহামায়া লেক থেকে। প্রকৃতিপ্রেমী কিংবা অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য এই লেক হতে পারে এক আদর্শ গন্তব্য।
৫. নাপিত্তাছড়া ট্রেইলঅ্যাডভেঞ্চার যাঁদের নেশা, তাঁদের জন্য নাপিত্তাছড়া হতে পারে এই সময়ের জন্য আদর্শ একটি গন্তব্য। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত নাপিত্তাছড়া ঝরনা আর সেখানে পৌঁছানোর ঝিরিপথটিই মূলত ‘নাপিত্তাছড়া ট্রেইল’ নামে পরিচিত। এটির মূল আকর্ষণ হলো এর বৈচিত্র্যময় পথ। কখনো সরু ঝিরিপথ, কখনো পিচ্ছিল পাথর, আবার কখনো কোমরপানির স্রোত পার হয়ে এগোতে হয়। পথজুড়ে শোনা যায় ঝিরি জলের শব্দ আর পাখির ডাক। কয়েক ঘণ্টা হাঁটার পর সামনে হাজির হয় দৃষ্টিনন্দন জলপ্রপাত, যা ক্লান্ত ভ্রমণকারীর জন্য একধরনের পুরস্কারের মতো। নাপিত্তাছড়ায় মূল ঝরনার পাশাপাশি আরও কয়েকটি ছোট ঝরনা ও প্রাকৃতিক জলাশয় রয়েছে। এখানে ভ্রমণ করলে পাহাড়ি প্রকৃতি, সবুজ বনভূমি ও জলপ্রপাতের মিলন একসঙ্গে উপভোগ করা যায়। তবে নাপিত্তাছড়া ট্রেইল একেবারেই অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য। কারণ এখানে যাওয়ার পথটি সহজ নয়, এর জন্য শারীরিকভাবে ফিট থাকা জরুরি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র জন য এই সময় জ বন র প রক ত আদর শ ভ রমণ
এছাড়াও পড়ুন:
এই সময়ে ভ্রমণে কোথায় যাবেন, কেন যাবেন
দেশে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হেমন্ত ও শীত—মূলত এই দুটি ঋতুর দেখা পাওয়া যায়। শীতকে ভ্রমণপ্রেমীদের প্রিয় ঋতু বলেই ধরে নেওয়া হয়। শীতের আমেজে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ তো আলাদা বটেই, তবে হৃদয়ে প্রশান্তির ছোঁয়া পেতে হেমন্তের জুড়ি নেই। যাঁরা প্রকৃতিকে গভীরভাবে অনুভব করতে চান, তাঁরা হেমন্তকে রাখতে পারেন পছন্দের তালিকার শীর্ষে।
তবে শুধু ঘুরতে বের হয়ে গেলেই কিন্তু হবে না, খেয়াল রাখতে হবে কোন সময়ে কোথায় গেলে ভ্রমণ হবে সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা কোনো জায়গায় শুধু জনপ্রিয়তার গল্প শুনেই ঘুরতে চলে যাই। সেখানে যাওয়ার পর হয়তো অনেকেরই মন ভরে না। আবার পর্যটন মৌসুমে এসব জায়গায় মানুষের সমাগম বেশি থাকে। তবে এমন বেশ কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো যায়, কাটানো যায় নিজের মতো মানসম্মত সময়। তেমনই কিছু ভ্রমণ স্থান সম্পর্কে জানা যাক।
১. তেঁতুলিয়াএই সময়টি উত্তরের জেলাগুলো ঘুরে আসার জন্য একেবারেই আদর্শ সময়। দেশের অন্য জেলাগুলোর চেয়ে উত্তরে, বিশেষভাবে পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ শুরু হয়ে যায় কিছুটা আগে থেকেই। এখানে দিন শুরু হয় সকালের হালকা কুয়াশায় দূর্বাঘাসের ওপর পড়ে থাকা শিউলি ফুলের স্বর্গীয় ঘ্রাণ দিয়ে। সেই সঙ্গে নতুন গাছের খেজুরের রস আর নবান্নের নতুন চালের রকমারি পিঠা তো আছেই। রাস্তার মোড়ে সাজানো থাকে পিঠার পসরা। বিকেল-সন্ধ্যাগুলো সেজে ওঠে অপরূপ সাজে। যার বর্ণনা লেখার ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, নিজ চোখে এসব দৃশ্য অবলোকন করতে হবে। একা বা বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে চলে যেতে পারেন তেঁতুলিয়ার প্রাচীন কোনো রাস্তায়, যেখানে বিকেলের আকাশে ভেসে ওঠে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য। দূরের সেই হিমালয় উঁকি দিয়ে জানান দেয় তার রহস্যঘেরা অস্তিত্ব। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় দিনই পশ্চিম আকাশে খালি চোখে এখান থেকে দেখতে পাবেন এ দৃশ্য। সেই সঙ্গে পাবেন রাস্তার ধারে সারি সারি চায়ের বাগান। এর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। এ ছাড়া ঘুরে আসতে পারেন মহানন্দা নদী, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো ও বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট।
২. নলজুড়িসিলেটের গোয়াইনঘাটের ছোট্ট জনপদ নলজুড়ি। নলজুড়ির দৃশ্য কিছুটা ভারতের কাশ্মীরের সঙ্গে মিল রয়েছে, তাই অনেকেই একে বলেন ‘বাংলার কাশ্মীর’, আবার কেউ বলেন ‘সিলেটের পেহেলগাম’। এই ছোট জনপদটির প্রধান আকর্ষণ হলো বিশাল সবুজ খেলার মাঠ, যা স্থানীয়ভাবে নলজুড়ি খাসিয়া হাওর খেলার মাঠ নামে পরিচিত। যাঁরা জীবনের ব্যস্ততায় ক্লান্ত, তাঁরা এই সময়ে একঘেয়ে জীবনের সব ক্লান্তি মেটাতে কিছুদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন এই এলাকা থেকে। নলজুড়ির দিগন্তজুড়ে মেঘালয়ের সবুজ পাহাড় এবং টিলার সমাহার এটিকে এক মনোরম উপত্যকার রূপ দিয়েছে। বছরজুড়েই প্রকৃতির অপার এক সৌন্দর্যের পসরা বিছিয়ে বসে থাকে নলজুড়ি। জাফলং-তামাবিল সড়কের কাছে অবস্থিত এই শান্ত ও কোলাহলমুক্ত স্থানটি প্রকৃতিপ্রেমী ও আলোকচিত্রীদের জন্য এক নতুন ঠিকানা।
৩. সোনাদিয়া দ্বীপসমুদ্রবিলাসীদের জন্য সোনাদিয়া দ্বীপ একটি আদর্শ ভ্রমণ-গন্তব্য। তিনদিকে সমুদ্রঘেরা এই চরটির ম্যানগ্রোভ বন এবং দুর্লভ জীববৈচিত্র্যই ভ্রমণপিপাসুদের টানে। গোধূলির সময় সমুদ্রসৈকতে লাল কাঁকড়ার বিচরণ, সাগরলতায় ঢাকা বালিয়াড়িতে কাছিমের আনাগোনা, খোঁয়াজকৈতর, বদরকৈতর, সরুঠোঁটি গঙ্গাকৈতর, গুলিন্দা, টিটি জিরিয়া, মধুবাজ, কানি ও যাঠুয়া বকসহ বিভিন্ন ধরনের গাঙচিলের দেখা পাওয়া যায় শীতের মৌসুমে। শীতের শুরু থেকে বসন্তকাল অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়। এই সময়টিতেই এখানের পরিবেশ ও আবহাওয়া ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে অনুকূল থাকে। সেই সঙ্গে আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হলো ‘ক্যাম্পিং’। পূর্ণিমা রাতে এখানে ক্যাম্পিং হতে পারে আপনার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে একটি।
৪. মহামায়া লেকবাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের মিরসরাইয়ে অবস্থিত একটি মনোরম কৃত্রিম জলাধার। পাহাড়ঘেরা সবুজ প্রকৃতির বুকে তৈরি লেকটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক হিসেবে পরিচিত। মূলত সেচ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্দেশে তৈরি হলেও বর্তমানে এটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। লেকের চারপাশে পাহাড়, ঝরনা আর সবুজ বন ভ্রমণপিপাসুদের টানে। এখানে নৌকা ভ্রমণ, কায়াকিং, সুইমিং, ক্যাম্পিংসহ নানা রোমাঞ্চকর কার্যক্রম উপভোগ করা যায়। লেকের পাশেই রয়েছে ছোট-বড় ঝরনা, যার জলধারা এর সৌন্দর্যকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। একঘেয়ে জীবনের ক্লান্তি এড়াতে এই সময়ে ঘুরে আসতে পারেন মহামায়া লেক থেকে। প্রকৃতিপ্রেমী কিংবা অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য এই লেক হতে পারে এক আদর্শ গন্তব্য।
৫. নাপিত্তাছড়া ট্রেইলঅ্যাডভেঞ্চার যাঁদের নেশা, তাঁদের জন্য নাপিত্তাছড়া হতে পারে এই সময়ের জন্য আদর্শ একটি গন্তব্য। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত নাপিত্তাছড়া ঝরনা আর সেখানে পৌঁছানোর ঝিরিপথটিই মূলত ‘নাপিত্তাছড়া ট্রেইল’ নামে পরিচিত। এটির মূল আকর্ষণ হলো এর বৈচিত্র্যময় পথ। কখনো সরু ঝিরিপথ, কখনো পিচ্ছিল পাথর, আবার কখনো কোমরপানির স্রোত পার হয়ে এগোতে হয়। পথজুড়ে শোনা যায় ঝিরি জলের শব্দ আর পাখির ডাক। কয়েক ঘণ্টা হাঁটার পর সামনে হাজির হয় দৃষ্টিনন্দন জলপ্রপাত, যা ক্লান্ত ভ্রমণকারীর জন্য একধরনের পুরস্কারের মতো। নাপিত্তাছড়ায় মূল ঝরনার পাশাপাশি আরও কয়েকটি ছোট ঝরনা ও প্রাকৃতিক জলাশয় রয়েছে। এখানে ভ্রমণ করলে পাহাড়ি প্রকৃতি, সবুজ বনভূমি ও জলপ্রপাতের মিলন একসঙ্গে উপভোগ করা যায়। তবে নাপিত্তাছড়া ট্রেইল একেবারেই অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য। কারণ এখানে যাওয়ার পথটি সহজ নয়, এর জন্য শারীরিকভাবে ফিট থাকা জরুরি।