ঢাবিতে ‘এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন
Published: 19th, January 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ট্রাস্ট ফান্ড’ শীর্ষক নতুন একটি ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এ লক্ষ্যে ‘এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন’ এর কোষাধ্যক্ষ ব্যারিস্টার মো. আফতাব উদ্দিন ২০ লাখ টাকার একটি চেক ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেন।
উপাচার্য লাউঞ্জে আয়োজিত এ চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় এবিএম মূসার কন্যা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. শারমিন মূসা, মরিয়ম সুলতানা মূসা রুমা, পারভীন সুলতানা মূসা ঝুমা, বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ সালেকীন) এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
এ ট্রাস্ট ফান্ডের আয় থেকে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিম্যান সাংবাদিক এবিএম মূসা ও তাঁর সহধর্মিণী সেতারা মূসার নামে এই ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের জন্য দাতা পরিবারের সদস্যদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, “শুধু সরকারের উপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, বৃত্তি প্রদানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করার জন্য অ্যালামনাই, দাতা সংস্থা ও সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এই ট্রাস্ট ফান্ড মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।
প্রয়াত সাংবাদিক আবুল বাশার মোহাম্মদ মূসা (এবিএম মূসা) ১৯৩১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের একজন নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। দীর্ঘ ৬০ বছরের বেশি সময় তিনি সাংবাদিকতায় সক্রিয় ছিলেন।
তিনি একাধারে একজন সাংবাদিক, সম্পাদক ও কলামিস্ট। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে তিনি প্রথমসারির বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সম্পাদক, বার্তা সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এবিএম মূসার সহধর্মিণী সেতারা মূসা ১৯৪০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৬৭ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব