ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ট্রাস্ট ফান্ড’ শীর্ষক নতুন একটি ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এ লক্ষ্যে ‘এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন’ এর কোষাধ্যক্ষ ব্যারিস্টার মো. আফতাব উদ্দিন ২০ লাখ টাকার একটি চেক ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেন।

উপাচার্য লাউঞ্জে আয়োজিত এ চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমদ খান।

এ সময় এবিএম মূসার কন্যা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. শারমিন মূসা, মরিয়ম সুলতানা মূসা রুমা, পারভীন সুলতানা মূসা ঝুমা, বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ সালেকীন) এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

এ ট্রাস্ট ফান্ডের আয় থেকে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিম্যান সাংবাদিক এবিএম মূসা ও তাঁর সহধর্মিণী সেতারা মূসার নামে এই ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের জন্য দাতা পরিবারের সদস্যদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, “শুধু সরকারের উপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, বৃত্তি প্রদানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করার জন্য অ্যালামনাই, দাতা সংস্থা ও সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এই ট্রাস্ট ফান্ড মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।

প্রয়াত সাংবাদিক আবুল বাশার মোহাম্মদ মূসা (এবিএম মূসা) ১৯৩১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের একজন নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। দীর্ঘ ৬০ বছরের বেশি সময় তিনি সাংবাদিকতায় সক্রিয় ছিলেন।

তিনি একাধারে একজন সাংবাদিক, সম্পাদক ও কলামিস্ট। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে তিনি প্রথমসারির বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সম্পাদক, বার্তা সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এবিএম মূসার সহধর্মিণী সেতারা মূসা ১৯৪০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৬৭ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাসের ধাক্কায় জকির আহমদ জেকি (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জকির আহমদ জেকি হোয়াইক্যং হোয়াব্রাং এলাকার মৃত নাগু সওদাগরের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, ‘পালকি পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস হ্নীলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে চলে আসে। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের লবণ মাঠে উল্টে যায়। সেসময় স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হ্নীলা ও টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জকির আহমদ জেকি মারা যান। 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায় এবং সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

সালাহউদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। হ্নীলা স্টেশন থেকে হোয়াব্রাংয়ের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে ঢুকে পড়ে, মুহূর্তেই বাসটি উল্টে যায়।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, হ্নীলা-টেকনাফ সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এ জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাযায় মতি, কান্নাজড়িত কণ্ঠে চাইলেন ক্ষমা
  • রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজ বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১