চার দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি নদভী
Published: 22nd, January 2025 GMT
চট্টগ্রামের (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় দায়ের হওয়া দুই মামলায় চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট বিচারক এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার পরিদর্শক হাবিবুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানায় সাবেক এমপি নদভীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুই মামলায় তিনদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে দুই মামলায় দুইদিন করে মোট ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আবু রেজা নদভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেখান থেকে গত ১২ জানুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। এদিন পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানার ৫ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় আদালত।
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন: রুহুল কবির রিজভী
নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যদি আবার ফ্যাসিবাদের কোনোভাবে উত্থান ঘটে, তাহলে কেউ বাঁচতে পারবেন না। তাই ঐক্যের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মহান মে দিবস উপলক্ষে বরিশাল জেলা ও মহানগর শ্রমিক দল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে আয়োজিত শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন রিজভী। শোভাযাত্রাটি নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সদর রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের এসে শেষ হয়।
পালিয়ে থেকেও দেশে হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রেখেছেন শেখ হাসিনা—এমন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘২৬২ জনকে হত্যার হুমকি দিয়ে দেওয়া তাঁর বক্তব্য ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয়েছে, ভয়াবহ ওই হুমকির কণ্ঠ শেখ হাসিনারই। একটি কথা মনে রাখতে হবে—এই দেশে যদি আবারও ফ্যাসিস্ট ফিরে আসে, তাহলে কেউই রেহাই পাবে না।’ তিনি বলেন, ‘দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, বর্তমান সরকারকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কথা শুনবেন না এটা হতে পারে না। শুধু উপদেষ্টাদের নিয়ে মানবিক করিডর দিতে চাইছেন। দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হতে পারে, সে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে নির্বাচিত সরকার না থাকায় ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এ অবস্থায় শেখ হাসিনার বিচার অনতিবিলম্বে সম্পন্ন করা প্রয়োজন। তা না হলে দেশে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে হবে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক, সহ–বন ও পরিবেশ সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান, সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্যসচিব শহিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।