যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়েছে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই) এজেন্টরা। ইস্ট হার্টফোর্ড, উইলিম্যান্টিক এবং ব্রিজপোর্টে আইসিই এজেন্টদের উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে। কমিউনিটির নেতারা বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিচ্ছেন যে, আইসিই এজেন্টরা যদিআপনার দরজায় আসে, তবে আপনার অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকুন।

ইস্ট হার্টফোর্ডের মেয়র কনর মার্টিন কমিউনিটির সদস্যদের উদ্দেশে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, আমি আমাদের কমিউনিটির মধ্যে ভয় এবং আতঙ্ক অনুভব করেছি। প্রায় আটজন এজেন্ট সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
রোববার তার শহরে একটি অভিযানের পর তিনি বাসিন্দাদের মনে করিয়ে দেন যে আইসিই এজেন্টরা বিচারকের স্বাক্ষরিত পরোয়ানা ছাড়া আপনার বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে না।

মার্টিন বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো ইস্ট হার্টফোর্ডের সমস্ত বাসিন্দাকে তথ্য জানানো। যাতে তারা নিজ নিজ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায়ন পায়।

ইস্ট হার্টফোর্ড পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তারা একটি সৌজন্যমূলক কল পেয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, আইসিই বার্নসাইড অ্যাভিনিউতে একটি কন্ডো কমপ্লেক্স এলাকায় থাকবে। তবে পুলিশ বলেছে যে তারা এই অভিযানের অংশ ছিল না এবং কেউ আটক হয়েছে কি না তা পরিষ্কার নয়।

একই ধরনের পরিস্থিতি ব্রিজপোর্টেও দেখা গেছে। যেখানে পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে যে তারা শুনেছে আইসিই শহরে আছে। তবে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

এই অভিযানের কতগুলো আটক করার মাধ্যমে শেষ হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। ব্ল্যাক এবং পুয়ের্তো রিকান ককাস মনে করে, যেসব এলাকাগুলোকে লক্ষ্য করা হচ্ছে, সেগুলো প্রধানত পুয়ের্তো রিকান।

ব্ল্যাক এবং পুয়ের্তো রিকান ককাস চেয়ার প্রতিনিধি আন্তোনিও ফেলিপ বলেছেন, আমাদের কাছে এটি খুবই বর্ণগত প্রোফাইলিংয়ের মতো মনে হচ্ছে। এমনকি ভাষার ভিত্তিতে প্রোফাইলিং। তারা পুয়ের্তো রিকান এলাকায় যাচ্ছে। পুয়ের্তো রিকানরা সর্বদা নাগরিক ছিল। যখন আপনি তাদের আপনার এলাকায় দেখেন এবং এর কারণ বা যুক্তি জানেন না। তখন এটি ভালো লাগে না। আমরা বিশ্বাস করি তাদের উচিত এমন কিছু অপরাধমূলক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করা। তিনি এবং তার সহকর্মীরা রাজ্যের কংগ্রেস সদস্যদের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

আন্তোনিও ফেলিপ বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি যাতে জানতে পারি আইসিই-এর উদ্দেশ্য কী এবং আমরা কৃতজ্ঞ যে আমাদের প্রতিনিধি দল আমাদের রক্ষা করতে কাজ করছে। তারা বেশ ভালো কাজ করছে। বিশেষত এই প্রশাসনের অধীনে ডেমোক্র্যাটিক রাজ্যগুলো যে অস্থিরতার সম্মুখীন হতে পারে তা থেকে আমাদের রক্ষা করতে। হার্টফোর্ড, ওয়াটারবারি এবং নিউ হ্যাভেনের মেয়ররা জানিয়েছেন যে তাদের শহরে এখন পর্যন্ত কোনো আইসিই অভিযান হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক য আপন র আইস ই

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।

সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।

সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’

তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ