পোকার কামড়ে কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
Published: 16th, August 2025 GMT
আমাদের চারপাশে নানা প্রজাতির পোকার বিচরণ। অনেক সময় পোকা কামড় দিতেই পারে। সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় বাড়িতে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তবে অনেক সময় গুরুতর পর্যায়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত মশা, পিঁপড়া বা অন্য কীটপতঙ্গের কামড়ে সামান্য চুলকানি, লালচে ভাব বা ফোলা হতে পারে। এসব সমস্যা কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
১.গুরুতর অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিলে
শরীরের অসম্ভব চুলকানি হলে এবং চুলকানোর ওষুধ দেওয়ার পরও না কমলে সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অতিরিক্ত অ্যালার্জিতে চোখ, মুখ, ঠোঁট বা গলার ভেতর ফুলে যাওয়া বিপজ্জনক লক্ষণ। অনেকে বুকে চাপ, ব্যথা, শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারেন, এমনকি মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। এসব লক্ষণের কোনোটি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
বিষধর পোকা হুল ফোটালে বা কামড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক র
এছাড়াও পড়ুন:
গুগল মেসেজেসে সংবেদনশীল ছবি ব্লার করার সুবিধা সবার জন্য চালু
গুগল মেসেজেসে এখন সবার জন্য চালু হলো সংবেদনশীল আধেয় বা কনটেন্ট শনাক্ত ও সতর্কবার্তা প্রদানের সুবিধা। গত বছরের অক্টোবরে ফিচারটির ঘোষণা দিয়েছিল গুগল। চলতি বছরের এপ্রিলে মেসেজেসের পরীক্ষামূলক সংস্করণের কিছু ব্যবহারকারী প্রথম এ সুবিধা পান। অবশেষে ঘোষণার প্রায় ১০ মাস পর অ্যান্ড্রয়েডের সব ব্যবহারকারীর জন্য ফিচারটি উন্মুক্ত হলো।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ৯টু৫ গুগলের তথ্যমতে, ‘সেনসিটিভ কনটেন্ট ওয়ার্নিংস’ বা সংবেদনশীল কনটেন্ট সতর্কবার্তা চালু করলে নগ্নতা রয়েছে, এমন ছবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঝাপসা হয়ে যাবে। চাইলে ছবিটি না খুলেই মুছে ফেলা যাবে। এ ধরনের ছবি পাঠানো প্রেরককে ব্লক করার অপশনও থাকবে। তবে ছবি দেখতে হলে ‘নেক্সট’ চাপ দিয়ে অনুমতি দিতে হবে।
গুগল জানিয়েছে, ফিচারটির সব প্রক্রিয়াই ব্যবহারকারীর যন্ত্রে সম্পন্ন হয়। ফলে কোনো সংবেদনশীল ছবি গুগলের সার্ভারে সংরক্ষিত বা আপলোড হবে না। কিশোর ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে ফিচারটি ডিফল্টভাবে চালু থাকবে। তত্ত্বাবধানে থাকা অ্যাকাউন্টে এটি বন্ধ করার সুযোগ থাকবে না। তবে অভিভাবকেরা ‘ফ্যামিলি লিংক’ অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। প্রাপ্তবয়স্ক অ্যাকাউন্টে ফিচারটি ঐচ্ছিক ও ডিফল্টভাবে বন্ধ থাকবে।
সুবিধাটি ব্যবহার করতে চাইলে গুগল মেসেজেস অ্যাপে গিয়ে প্রোফাইল ছবিতে চাপ দিয়ে ‘মেসেজেস সেটিংস’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘প্রটেকশন অ্যান্ড সেফটি’তে গিয়ে ‘ম্যানেজ সেনসিটিভ কনটেন্ট ওয়ার্নিংস’ অপশনে গিয়ে ফিচারটি চালু করা যাবে। পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ফিচারটি ব্যবহার করতে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘সেফটিকোর’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হতে পারে।
ফিচারটি চালু থাকলে শুধু ছবি দেখার সময় নয়, কোনো সংবেদনশীল ছবি পাঠানো বা ফরোয়ার্ড করার আগেও সতর্কবার্তা দেখা যাবে। সতর্কবার্তায় ডান দিকে সোয়াইপ করে অনুমোদন দিতে হবে। এতে অনিচ্ছাকৃতভাবে সংবেদনশীল ছবি শেয়ার হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমবে। এই সতর্কবার্তা কেবল স্থির ছবির ক্ষেত্রে কার্যকর। জিআইএফ বা ভিডিও ফাইলের ক্ষেত্রে সুবিধাটি প্রযোজ্য নয়।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েডপুলিশ