মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ইতিহাসের দুঃসাহসী ও অদ্ভুত এক চুরির ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে। নাসায় কর্মরত ২৪ বছর বয়সী শিক্ষানবিশ থাড রবার্টস ২০০২ সালে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার মূল্যের চাঁদের পাথর চুরি করেন। কোনো লোভ থেকে নয়, শুধু প্রেমের কারণেই নাকি সেই চুরি করেন।

রবার্টসের বান্ধবী টিফানি ফাউলার ও সহকর্মী শিক্ষানবিশ শে সৌরের সঙ্গে মিলে এ ঘটনা ঘটান। রবার্টস যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টার থেকে চুরি করেন। নাসার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সুরক্ষিত ক্যামেরা ও অ্যালার্ম বাইপাসে বিশেষ স্যুট ব্যবহার করেন। ১৭ পাউন্ড চন্দ্র নমুনা চুরি করেন রবার্টস। সেখানে ১৯৬৯–১৯৭২ সালের অ্যাপোলো মিশনের ঐতিহাসিক চাঁদের পাথরও ছিল। রবার্টস ধরা পড়ার পরে চুরির বিষয়টিকে ভালোবাসার জন্য করেছেন বলে জানান। যদিও এফবিআইয়ের ধারণা ছিল, রবার্টস গোপনে অনলাইনে পাথর বিক্রি করার চেষ্টা করেছেন।

২০০২ সালের জুলাইয়ের এক রাতে রবার্টস, ফাউলার ও সৌর জনসন স্পেস সেন্টারের ৩১ নম্বর ভবনে অনুপ্রবেশ করেন। রবার্টস ও ফাউলার নিওপ্রিন বডিস্যুট পরেন, যেন শরীরের তাপ কোনো সেন্সরে ধরা না পড়ে। সৌর একজন পাহারাদার হিসেবে কাজ করেন। একটি পাওয়ার করাত ব্যবহার করে তাঁরা ৬০১ পাউন্ড ওজনের একটি সেফ খুলে ফেলেন। সেখানে থাকা চাঁদের শিলা ও উল্কাপিণ্ড চুরি করেন তাঁরা। চুরি যাওয়া চন্দ্র নমুনার মূল্য ছিল প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ ডলার।

নাসার শিক্ষানবিশ থাড রবার্টস.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ক ষ নব শ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমের জন্য নাসা থেকে চন্দ্রপাথর চুরি করেন এক শিক্ষানবিশ

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ইতিহাসের দুঃসাহসী ও অদ্ভুত এক চুরির ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে। নাসায় কর্মরত ২৪ বছর বয়সী শিক্ষানবিশ থাড রবার্টস ২০০২ সালে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার মূল্যের চাঁদের পাথর চুরি করেন। কোনো লোভ থেকে নয়, শুধু প্রেমের কারণেই নাকি সেই চুরি করেন।

রবার্টসের বান্ধবী টিফানি ফাউলার ও সহকর্মী শিক্ষানবিশ শে সৌরের সঙ্গে মিলে এ ঘটনা ঘটান। রবার্টস যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টার থেকে চুরি করেন। নাসার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সুরক্ষিত ক্যামেরা ও অ্যালার্ম বাইপাসে বিশেষ স্যুট ব্যবহার করেন। ১৭ পাউন্ড চন্দ্র নমুনা চুরি করেন রবার্টস। সেখানে ১৯৬৯–১৯৭২ সালের অ্যাপোলো মিশনের ঐতিহাসিক চাঁদের পাথরও ছিল। রবার্টস ধরা পড়ার পরে চুরির বিষয়টিকে ভালোবাসার জন্য করেছেন বলে জানান। যদিও এফবিআইয়ের ধারণা ছিল, রবার্টস গোপনে অনলাইনে পাথর বিক্রি করার চেষ্টা করেছেন।

২০০২ সালের জুলাইয়ের এক রাতে রবার্টস, ফাউলার ও সৌর জনসন স্পেস সেন্টারের ৩১ নম্বর ভবনে অনুপ্রবেশ করেন। রবার্টস ও ফাউলার নিওপ্রিন বডিস্যুট পরেন, যেন শরীরের তাপ কোনো সেন্সরে ধরা না পড়ে। সৌর একজন পাহারাদার হিসেবে কাজ করেন। একটি পাওয়ার করাত ব্যবহার করে তাঁরা ৬০১ পাউন্ড ওজনের একটি সেফ খুলে ফেলেন। সেখানে থাকা চাঁদের শিলা ও উল্কাপিণ্ড চুরি করেন তাঁরা। চুরি যাওয়া চন্দ্র নমুনার মূল্য ছিল প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ ডলার।

নাসার শিক্ষানবিশ থাড রবার্টস

সম্পর্কিত নিবন্ধ