বর্ষায় সংস্কার
বর্ষা আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান ঋতু। অথচ এই মৌসুমেই নানা স্থানে রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এতে যেমন কাজের মান ব্যাহত হয়, তেমনি জনদুর্ভোগও চরমে পৌঁছায়। বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট কাদা, জলাবদ্ধতা ও যানজট সাধারণ মানুষের চলাচলকে অত্যন্ত কষ্টকর করে তোলে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সময়মতো ক্লাসে পৌঁছানো দুষ্কর হয়ে পড়ে। অন্যদিকে কর্মজীবী মানুষকে সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়, যা তাঁদের কাজের দক্ষতাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
প্রশ্ন হলো, এ ধরনের সংস্কারকাজ কি বর্ষা শুরুর আগেই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়? পরিকল্পিত সময়সূচি মেনে কাজ সম্পন্ন করলে যেমন জনদুর্ভোগ কমবে, তেমনি কাজের গুণগত মানও বৃদ্ধি পাবে। সবার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি দেওয়া জরুরি।
মো.
সজল হোসাইন
ছাত্র, মিরপুর-১০, ঢাকা
লোডশেডিংসম্প্রতি ফরিদপুরে বিদ্যুৎ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। দিন কিংবা রাত কোনো সময়ই ঠিকভাবে বিদ্যুৎ থাকছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং চলে। এতে দৈনন্দিন কাজ যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি অর্থনীতির গতিও থমকে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ ছাড়া কলকারখানায় উৎপাদন সম্ভব হয় নয়, কৃষক খেতে সেচ দিতে পারেন না। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করতেও সমস্যা হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রত্যাশা, সরকার ফরিদপুরের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
মো. ইয়ামিন খান, ফরিদপুর
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যায় যা বললেন রশিদ খান
এশিয়া কাপের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে হারল আফগানিস্তান। কাল শারজাতে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে রশিদ খানের দল। এই হারে দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগকেই দুষছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।
আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটি তুলেছে ১০৯ রান। তখন জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু আচমকাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নামে। ১১.৪ ওভার থেকে ১৫.৪ ওভারের মধ্যে ২৪ বলে বাংলাদেশ ৯ রানে ৬ উইকেট হারালে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। কিন্তু এভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।
আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোয় সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল রশিদের। ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক কীর্তিও গড়েন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এ নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন রশিদ।
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে আর কোনো অধিনায়ক এতবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিতে পারেননি। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা দুবার করে ইনিংসে ন্যূনতম ৪ উইকেট নিয়েছেন।
কাল ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ