বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা প্রকল্পের ১৪ ভেড়া চুরি
Published: 18th, September 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গবেষণা প্রকল্পের জন্য বিশেষভাবে লালনপালন করা উন্নত জাতের ১৪টি ভেড়া চুরি হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফটকসংলগ্ন খামার থেকে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, দরপার ও গাড়ল প্রজাতির এসব ভেড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা চলছিল। এর মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো ভ্রূণ স্থানান্তরের মাধ্যমে ভেড়ার বাচ্চা উৎপাদন সম্ভব।
রাতে খামারটিতে কোনো প্রহরী দায়িত্বে ছিলেন না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বরত দুজন কর্মী গতকাল বিকেল ৫টার পর দায়িত্বস্থল থেকে চলে যান। রাতে খামারটি সম্পূর্ণ ফাঁকা ছিল। সকালে নিরাপত্তাকর্মী গিয়ে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা এবং ভেড়াগুলো নেই। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ঘটনাটি নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে।
গবেষণা প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত সার্জারি ও অবস্টেট্রিকস বিভাগের অধ্যাপক ফরিদা ইয়াসমিন বারি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই ভেড়াগুলো নিয়ে গবেষণার জন্যই আমি গোল্ড মেডেল পেয়েছিলাম। চর ও হাওর অঞ্চলে এই জাতের ভেড়ার পরিচিতি রয়েছে। বর্তমানে তিনটি প্রজনন প্রকল্প ও দুটি গবেষণা প্রকল্প চলমান ছিল। দরপার ও গাড়ল প্রজাতির উন্নত ভেড়া ছিল সবগুলো। একেকটির ওজন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কেজি। তালা ভেঙে ১৪টি ভেড়া নিয়ে গেছে, এখন মাত্র ২–৩টি অবশিষ্ট আছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বড় ক্ষতি, ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্যও অত্যন্ত কষ্টের।’
ফরিদা ইয়াসমিন আরও যোগ করে বলেন, ২০১১ সাল থেকে ভেড়াগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে। এসব ভেড়া থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ নিতেন। চুরির কারণে শুধু তাঁর ব্যক্তিগত গবেষণা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষ থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণারও মারাত্মক ক্ষতি হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করি এবং দায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিই। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল্লার শয্যাপাশে বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম
বন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার অসুস্থ্য প্রবীন সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ খোঁজ খবর নিলেন বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর কলাবাগস্থ তার নিজ বাড়িতে এসে তারা এ খোঁজখবর নেন । ওই সময় সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহর পাশে কিছুক্ষণ সময় কাটান ও তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক জি.এম. সুমন একই কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন,বন্দর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রিপন,দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি শেখ আরিফসহ বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য,সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ গত শনিবার সকাল এগারোটার দিকে প্রচন্ড ভাইরাস জ্বড়ে অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে বাড়িতে টানা ৬ দিন যাবৎ তিনি অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী রয়েছেন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.ফারুক আহেমেদের নিবির পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তবে বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হলেও শংকা কাটেনি বলে জানা গেছে।