বইমেলায় মুজাহিদ উদ্দীনের দুই বই
Published: 12th, February 2025 GMT
এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তরুণ লেখক এম এম মুজাহিদ উদ্দীনের দুটি বই। রকমারিতে বই দুটির অর্ডার করা যাবে। এ ছাড়া বইমেলায় অন্বেষা প্রকাশনের ৭০৯, ৭১০, ৭১১, ৭১২ নং এবং বাংলার প্রকাশন-এর ৮২০, ৮২১ স্টলে বই দুটি পাওয়া যাচ্ছে।
বই দুটির একটি ছাত্রজীবন থেকে ক্যারিয়ার প্রস্তুতির যাবতীয় গাইডলাইন নিয়ে লেখা ‘ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার’। বইটি প্রকাশ করেছে অন্বেষা প্রকাশন। অন্যটি বিশ্বের সাড়া জাগানো বইগুলোর লাইফ লেসন নিয়ে লেখা ‘লেসন ফ্রম বুকস’। বইটি প্রকাশ করছে বাংলার প্রকাশন।
‘ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার’ বইটির মুদ্রিত মূল্য ৪০০ টাকা এবং ‘লেসন ফ্রম বুকস’ বইটির মুদ্রিত মূল্য ২৭০ টাকা রাখা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
বুক মার্কেটিং লেখক-প্রকাশক উভয়েরই দায়িত্ব: জসিম উদ্দিন
বইমেলায় এস এম জাহিদ হাসানের ‘চলতি পথের বাঁকে’
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার বই সম্পর্কে লেখক বলেন, ‘‘জীবনে বড় হওয়ার জন্য একজন মেন্টরের দরকার হয়। যার পরামর্শ দেওয়ার মতো কেউ নেই; বইটি তার জন্য মেন্টরের ভূমিকা পালন করবে। তিনি আকাশ ছোঁয়ার দুরন্ত স্বপ্ন দেখবেন।’’
লেসন ফ্রম বুকস বই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের সাড়া জাগানো বইগুলোর লাইফ লেসন নিয়ে মূলত বইটি লেখা হয়েছে। যে জীবনের পাঠ সুন্দর অভ্যাস, টাকা অর্জন-বিনিয়োগ, খ্যাতি, সম্মান ও সফল জীবন গঠনের সহায়ক হবে। ব্যস্ত জীবনে অনেকেরই এতো বইপড়ার সুযোগ হয় না। তারা সহজেই বইটি থেকে লাইফ লেসন শিখে জীবনে সফল হতে পারবেন।’’
ইতোপূর্বে তিনি ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি বইটি লিখে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তিনি নিয়মিত দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে কলাম এবং ফিচার লেখেন। তরুণদের ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা দেন।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।