ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (টিআইসিআই) জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। দেশ-বিদেশে ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রশিক্ষণের জন্য ভারী শিল্পকারখানার কাজের উপযোগী শিক্ষানবিশ গ্রেড-২ পদে ৬৮৯ জন পুরুষ কর্মী নিয়োগ দেবে। প্রার্থীদের অবিবাহিত হতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১.

পদের নাম: শিক্ষানবিশ গ্রেড-২ (অপারেটর)

পদসংখ্যা: ২৪৯

যোগ্যতা: স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি (পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত) ও এইচএসসি (পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও গণিতসহ) উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ অথবা স্বীকৃত কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও এইচএসসিতে (ভোকেশনাল) (কম্পিউটার অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স/ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ও কমিউনিকেশন) জিপিএ কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে।

বয়স: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ২৩ বছর

মাসিক ভাতা: উপস্থিতির ভিত্তিতে সাকল্যে মাসিক ভাতা ৩,৫০০ টাকা।

২. পদের নাম: শিক্ষানবিশ গ্রেড-২ (টেকনিশিয়ান-ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি)

পদসংখ্যা: ৯৯

যোগ্যতা: স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল)/ এসএসসি (বিজ্ঞান) এবং এইচএসসিতে (ভোকেশনাল) (ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিক্স) জিপিএ কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে।

বয়স: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ২৩ বছর

মাসিক ভাতা: উপস্থিতির ভিত্তিতে সাকল্যে মাসিক ভাতা ৩,৫০০ টাকা।

৩. পদের নাম: শিক্ষানবিশ গ্রেড-২ (টেকনিশিয়ান-মেকানিক্যাল/মেশিন টুলস টেকনোলজি)

পদসংখ্যা: ২০১

যোগ্যতা: স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল)/ এসএসসি (বিজ্ঞান) এবং এইচএসসিতে (ভোকেশনাল) (মেকানিক্যাল/মেশিন টুলস টেকনোলজি) জিপিএ এ কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে।

বয়স: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ২৩ বছর

মাসিক ভাতা: উপস্থিতির ভিত্তিতে সাকল্যে মাসিক ভাতা ৩,৫০০ টাকা।

৪. পদের নাম: শিক্ষানবিশ গ্রেড-২ (টেকনিশিয়ান-অটোমোবাইল/রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশন টেকনোলজি)

পদসংখ্যা: ৪৬

যোগ্যতা: স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল)/ এসএসসি (বিজ্ঞান) এবং এইচএসসিতে (ভোকেশনাল) (অটোমোবাইল/রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশন টেকনোলজি) জিপিএ কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে।

বয়স: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ২৩ বছর

মাসিক ভাতা: উপস্থিতির ভিত্তিতে সাকল্যে মাসিক ভাতা ৩,৫০০ টাকা।

৫. পদের নাম: শিক্ষানবিশ গ্রেড-২ (টেকনিশিয়ান-ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন টেকনোলজি)

পদসংখ্যা: ৬৭

যোগ্যতা: স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল)/ এসএসসি (বিজ্ঞান) এবং এইচএসসিতে (ভোকেশনাল) (ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন টেকনোলজি টেকনোলজি) জিপিএ কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে।

বয়স: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ২৩ বছর

মাসিক ভাতা: উপস্থিতির ভিত্তিতে সাকল্যে মাসিক ভাতা ৩,৫০০ টাকা।

আরও পড়ুনঅর্থ মন্ত্রণালয়ে বড় নিয়োগ, সংশোধিত পদ ১৩৪৪১ মিনিট আগে৬. পদের নাম: শিক্ষানবিশ গ্রেড-২ (টেকনিশিয়ান-ড্রাফটিং অ্যান্ড সিভিল/উড ওয়ার্কিং টেকনোলজি)

পদসংখ্যা: ২৭

যোগ্যতা: স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল)/ এসএসসি (বিজ্ঞান) এবং এইচএসসিতে (ভোকেশনাল) (ড্রাফটিং অ্যান্ড সিভিল/উড ওয়ার্কিং/বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) জিপিএ কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে।

বয়স: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ২৩ বছর

মাসিক ভাতা: উপস্থিতির ভিত্তিতে সাকল্যে মাসিক ভাতা ৩,৫০০ টাকা।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। চাকরির আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলি এই লিংকে জানা যাবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পদ ১২৪ ঘণ্টা আগেআবেদন ফি

পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ১২টা পর্যন্ত।

আরও পড়ুনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি, পদ ১৪২০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপস থ ত র ভ ত ত ত জ প এ কমপক ষ ২০২৫ ত র খ এইচএসস ত ২৬ জ ন য় র ৩ ৫০০ ট ক পদ র ন ম পদস খ য স কল য য গ যত ১৮ থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

তদন্ত করে ভুয়া নাম বাদ দিন

সরকারি নথিপত্রে যেকোনো ঐতিহাসিক ঘটনার ভুল কিংবা মিথ্যা তথ্যের ইচ্ছাকৃত অন্তর্ভুক্তি সন্দেহাতীতভাবে ইতিহাস বিকৃতির সবচেয়ে খারাপ ধাপ। স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকারগুলোর প্রায় প্রত্যেকে এই গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি করা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রাজাকারদের, আর রাজাকারের তালিকায় সুবিদিত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের অন্তর্ভুক্তি দেখা গেছে। কিন্তু হাজারো তরুণের রক্তস্নাত জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব নেওয়া অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে, তা অকল্পনীয় ছিল।

কিন্তু বাস্তবতা দেখিয়েছে, আগের সেই রেশ থামেনি। দেখা যাচ্ছে, সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শহীদদের যে তালিকা করেছে, তাতে এমন অর্ধশতাধিক লোকের নাম এসেছে, যাঁরা জুলাই শহীদ নন।

জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন বিধিমালা, ২০২৫ স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে: শুধু রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী অথবা আওয়ামী শাসক দলের লোকদের হাতে নিহত ব্যক্তিরাই জুলাই শহীদ বলে গণ্য হবেন। কিন্তু প্রথম আলোর প্রতিবেদন বলছে, সরকারের তৈরি করা জুলাই শহীদদের তালিকায় কমপক্ষে ৫২ জনের নাম আছে, যাঁরা জমিসংক্রান্ত বিরোধ বা অন্য কারণে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছেন কিংবা নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এ ছাড়া তালিকায় তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন ছাত্রলীগ নেতা আছেন। এমনকি তালিকায় এমন একজনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যিনি প্রতিবাদীদের ওপর হামলায় যুক্ত ছিলেন।

প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে এককালীন মোট ৩০ লাখ টাকা দেবে সরকার। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরে দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক শহীদ পরিবার মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছে। ঢাকায় তাদের ফ্ল্যাট দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।

জনমানসের যৌক্তিক ধারণা, এই অর্থনৈতিক সুবিধার প্রলোভন তালিকা প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় প্রতারণা, শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং অপকৌশলের সুযোগ তৈরি করেছে। শুধু জালিয়াতি করে শহীদ দেখিয়ে শুধু সহায়তা নেওয়া নয়; সংশ্লিষ্ট নিহতের ঘটনায় মামলা করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার নজিরও মিলেছে।

এই পরিস্থিতি প্রমাণ করছে, তালিকাভুক্তকরণের প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক ও আর্থিক স্বার্থ কাজ করে থাকতে পারে। ঘটনাটিকে দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু কর্মকর্তার মিলিত কৌশল এবং সুযোগসন্ধানীদের চক্রান্ত হিসেবে বিবেচনা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বড় ধরনের ব্যর্থতা। তবে প্রথম আলোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি সরকার আমলে নিয়েছে, এ জন্য আমরা তাদের সাধুবাদ জানাতে চাই।

বহু শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সরকার এক মহান দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে। তাদের মনে রাখতে হবে, শহীদের মর্যাদাকে সরকারি পরিসরে আর্থিক প্রলোভন, সংকীর্ণ রাজনৈতিক সুবিধা বা স্বার্থপর উদ্দেশ্যে বিকৃত করা হলে সেটি ইতিহাস, নৈতিকতা ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব লঙ্ঘনের অমার্জনীয় অন্যায় হয়ে ওঠে।

এ অন্যায় থেকে বাঁচতে ও মানুষের আস্থা পুনঃস্থাপনে অবিলম্বে বিতর্কিত সব নামের সব সরকারি সুবিধা অবিলম্বে স্থগিত করতে হবে। স্বাধীন ও অরাজনৈতিক কমিটি গঠন করে প্রতিটি নামের পুনঃ যাচাই নিশ্চিত করা জরুরি। বাদ পড়া শহীদদের নামও তালিকায় যুক্ত করতে হবে। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে যাদের গাফিলতি বা দুর্নীতির কারণে এই অনিয়ম হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসে এক অমর মাইলফলক। এর শহীদদের তালিকায় নকল বা অপ্রাসঙ্গিক নাম সংযোজন করা হলে ‘বীরের এ রক্তস্রোত, মাতার এ অশ্রুধারা’ সব ‘ধরার ধুলায় হবে হারা’। সরকারকে এ সত্য উপলব্ধি করতে হবে।

আশার কথা হলো, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কোনো প্রকার ভুয়া প্রমাণিত হলে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নে মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কথা ও কাজের সম্মিলিত প্রয়াস আমরা দেখব, সেটিই কাম্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনবল নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পদ ৪৩০
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
  • জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা
  • আইএইচটি ও ম্যাটসের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
  • যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়ায় কেন অংশ নিল ভারত
  • একবার হ‌লেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় জামায়া‌ত
  • তদন্ত করে ভুয়া নাম বাদ দিন
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • বিমানবাহিনী নেবে অফিসার ক্যাডেট, দেখুন চাকরির বিস্তারিত
  • বাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা