সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সেনা সদস্যদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, মাঝে মাঝে কাজ করতে গিয়ে কিছু বল প্রয়োগ হয়ে যায়। বল প্রয়োগ করতে গেলেও অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে যেন হয় এবং যত কম বল প্রয়োগ করা যায় ততই ভালো।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভার ক্যান্টনমেন্টে ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে আমরা ব্যস্ত। দেশ ও জাতির জন্য এ কাজ আমাদের করে যেতে হবে।

তিনি বলেন, প্রথমে মনে করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি এ কাজ শেষ করে সেনানিবাসে ফেরত আসতে পারবো। কিন্তু কাজটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ধৈর্য রাখতে হবে এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে কাজটি শেষ করতে হবে। দেশ ও জাতির জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যতোদিন না একটা নির্বাচিত সরকার পাই, ততদিন শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের কাজ করে যেতে হবে। দায়িত্ব পালনের সময় উশৃঙ্খল কাজ করা যাবে না, এটা আমাদের নজর রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আমরা একসঙ্গে কাজ করলে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারবো, একটা সুন্দর দেশ পাবো।

সাভার সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মঈন খানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: আম দ র ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচনের কমিশন ও তফসিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। রোববার বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন।

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের মাহতাব ইসলাম কর্মসূচিতে টানা অবস্থান করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ডাকসু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের একটা প্ল্যাটফর্ম। ডাকসু জুলাই অভ্যুত্থানের একটা কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি)। অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশে বিশেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা পরিবর্তিত পরিবেশ চেয়েছেন, যেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার জায়গা থাকবে, পারস্পরিক সহিষ্ণুতা ও সহাবস্থান থাকবে। এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

বিন ইয়ামিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছি। আমরা সম্প্রতি তিনজন তিন দিনের মতো অনশনে ছিলাম। তারপর ভিসি (উপাচার্য) স্যারসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত  করেছিলেন, (জুনের) ২ তারিখের ভেতর ডাকসু নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আমাদের জানাবেন। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।’

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা পত্রিকা মারফত জানলাম, সোমবার ডাকসুর বিষয়ে জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং আহ্বান করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে এবং ডাকসুর পক্ষে আসতে হবে। নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত করা এবং নির্বাচনের তারিখ আমরা এখান থেকে চাই।’

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাত ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না জানানো পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান বিন ইয়ামিন। সিন্ডিকেট সভা থেকে ডাকসু নির্বাচন কমিশন ও তফসিলের ঘোষণা না এলে আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

আরও পড়ুনআজকের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি২৪ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ