নিজেদের মধ্যে বিবাদের কোনো সুযোগ এখন নেই: রুমিন ফারহানা
Published: 24th, February 2025 GMT
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, এখন নিজেদের মধ্যে বিবাদের কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির লক্ষ্য জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া; আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেটি খুব খারাপ অবস্থায় চলে গিয়েছে; সেটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।
আজ সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আয়োজিত শহরের আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে এক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রুমিন ফারহানা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদের অপচেষ্টা মোকাবিলায় বিভিন্ন দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘গত ১৬ বছর বিএনপির একেকটি নেতা-কর্মী অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। একজনের নামের শত শত মামলা হয়েছে। কেউ চাকরি করতে পারে নাই, ঘরে থাকতে পারে নাই, ব্যবসা করতে পারে নাই, এমনকি পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকতেও পারেনি। অতঃপর আমরা অনেক কষ্ট করে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতা রক্ত, ঘাম ফেলে নানান নির্যাতনের মধ্য দিয়ে এসেছে। সুতরাং এই স্বাধীনতাকে কোনোভাবে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।’
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কুমিল্লার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব, কুমিল্লার সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সম্মানিত সদস্য জহিরুল হক প্রমুখ। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুনকিছু ছাত্রনেতার কথাবার্তায় মনে হয়, তাঁরা পুরো আন্দোলনটাকে হাইজ্যাক করে নিয়ে গেছেন: আমীর খসরু২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।