রাজনীতি থেকে বিদায়ের কথা জানালেন জাস্টিন ট্রুডো
Published: 8th, March 2025 GMT
কানাডার রাজনীতিতে আর দেখা যাবে না দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। তিনি আর নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়েছেন। শুক্রবার তাঁর বিদায়ী অনুষ্ঠান উপলক্ষে মন্ট্রিয়লে এক সভায় এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ছিলেন মন্ট্রিয়লের প্যাপিন্যূ এলাকার এমপি। ট্রুডো যখন প্রথম পাপিন্যূ নির্বাচনী এলাকা থেকে লিবারেল পার্টি থেকে নমিনেশন চেয়েছিলেন তখন তাঁকে দলীয় নমিনেশনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
জাস্টিন ট্রুডোর এ অনুষ্ঠানটি ছিল বিদায় অনুষ্ঠান। তিনবারের এমপি তার পাপিন্যূ রাইডিংয়ের লিবারেল মেম্বারদের কাছ থেকে বিদায় নিলেন আনুষ্ঠানিকভাবে। রাইডিংয়ের সদস্যরা তাঁকে বিদায় জানিয়েছে অশ্রুসিক্ত নয়নে।
একজন সজ্জন ও স্মার্ট রাজনীতিক হিসেবে টূডো ছিলেন সকলের পছন্দের। করোনা পরবর্তী সময়ে কানাডার টালমাটাল অর্থনীতিকে সূচারুরূপে পরিচালনা করেন তিনি।
বিদায়ী সভায় জাস্টিন ট্রুডো জানান, তিনি আর নির্বাচন করবেন না। তাঁর দাদার বাবা, দাদা এবং তিনি বসেছেন সংসদের আসনে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছেন তাঁর বাবা।
রাজনীতি থেকে তাঁর বিদায়ে অনেকেই ব্যথিত বলে অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা জানান, কৃতজ্ঞতার সঙ্গে কানাডার নাগরিকরা তাঁর অবদান স্মরণ করবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।