জামায়াতে ইসলামী কোনো ‘মব জাস্টিস’ সমর্থন করে না উল্লেখ করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বিচারবহির্ভূত কোনো কিছুই আমরা চাই না। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনা পাবলিকের মতামত ও আবেগকে প্রভাবিত করে। তবুও আমরা সর্বাবস্থায় বলি, আপনারা ধৈর্য ধরুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করুন এবং বিচারকে তার আপন গতিতে এগোতে দেন। সেটার মধ্যেই কল্যাণ।’

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুর গ্রামে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শফিকুর রহমান। শিশুটির পরিবারকে সান্ত্বনা ও সহানুভূতি জানাতে তিনি শনিবার সকালে হেলিকপ্টারে সেখানে যান। প্রথমে তিনি শিশুটির কবর জিয়ারত করেন। এরপর স্থানীয় একটি বিদ্যালয় মাঠে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। 

সেখানে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা বলেছি, ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের বিচার ও রায় কার্যকর দেখতে চাই। অনেকে বলেছে, এক সপ্তাহ, কিন্তু এ দেশের আইনে এক সপ্তাহে বিচার সম্ভব নয়। এ জন্য বলেছি, ৯০ দিন।’

জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইন। দোয়া মাহফিল শেষে শিশুটির বাড়িতে যান জামায়াত আমিরসহ দলটির নেতারা। সেখানে শফিকুর রহমান জানান, তিনি পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তাসহ তাদের একটি পাকাবাড়ি করে দেবেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী সব সময় পরিবারটির পাশে থাকবে এবং সব ধরনের সহযোগিতা করবে। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ