নবাবগঞ্জ বিএনপির নিখোঁজ সভাপতির সন্ধান দাবিতে মানববন্ধন
Published: 19th, March 2025 GMT
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজাদুল ইসলাম হাই ওরফে পান্নুর (৭২) সন্ধান দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি। মানববন্ধন শেষে দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিখোঁজ বিএনপি নেতার স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি নবাবগঞ্জের দেওতলার বাড়ি থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে বের হন পান্নু। রাজশাহীতে পৌঁছানোর পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর একবার কথা হয়। এর পর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ নেই। এ ব্যাপারে ১০ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তাঁর ছেলে সিহাব তমাল।
আজাদুল ইসলামের সন্ধান দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ সময় পার হলেও নিখোঁজ একজন নেতার সন্ধান করতে পারেনি প্রশাসন। এটা সবার জন্য উদ্বেগের। প্রশাসন তৎপর হলে অবশ্যই তাঁর সন্ধান পাওয়া সম্ভব।
আজাদুল ইসলামের ছেলে সিহাব তমাল বলেন, বাবার সন্ধানে তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। তবে তাঁর কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি দ্রুত বাবাকে ফিরে পেতে চান।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুস সালাম, আবদুল ওয়াহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আল মামুন, তুষার আহমেদ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল নীরব।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম ব এনপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।
মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫