প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে বড় নিয়োগ, পদ ২৫৫
Published: 23rd, March 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনস্থ একটি অধিদপ্তরে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই অধিদপ্তরে ১৩ ক্যাটাগরির পদে ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডে ২৫৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
১. পদের নাম: সহকারী পরিচালকপদসংখ্যা: ২৬
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
২.পদের নাম: টেলিফোন ইঞ্জিনিয়ার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
৩. পদের নাম: ফিল্ড অফিসারপদসংখ্যা: ১৭
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। উচ্চতা পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, নারীদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট। বুকের মাপ পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রে ৩০-৩২ ইঞ্চি (সম্প্রসারিত)।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)
৪. পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরপদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। সাঁটলিপির গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৮০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৫০ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৩০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
৫. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরপদসংখ্যা: ১৪
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। সাঁটলিপির গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৭০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৪৫ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৩০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
আরও পড়ুনতিন বছর পর সমবায় অধিদপ্তরের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি, পদ ৫১১ ২০ মার্চ ২০২৫৬. পদের নাম: ওয়্যারলেস অপারেটরপদসংখ্যা: ২০
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। বৈদ্যুতিক ও বেতার যন্ত্রপাতি এবং বেতারযন্ত্রে যোগাযোগের নিয়মাবলি সম্বন্ধে মৌলিক জ্ঞান থাকতে হবে। মোর্স টেলিগ্রাফিতে প্রতি মিনিটে ২০টি শব্দ গ্রহণ ও প্রেরণের সক্ষমতা এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। তবে টেলিযোগাযোগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী বা পুলিশের সাবেক সদস্যদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স শিথিলযোগ্য।
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)
৭. পদের নাম: অফিস অ্যাসিস্ট্যান্টপদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
আরও পড়ুনপরিসংখ্যান ব্যুরোতে আবারও বড় নিয়োগ, ২০ ক্যাটাগরিতে পদ ৪৭২১৫ মার্চ ২০২৫৮. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকপদসংখ্যা: ২০
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
৯. পদের নাম: গাড়িচালকপদসংখ্যা: ১৩
যোগ্যতা: জেএসসি বা সমমান পাস। গ্রেড ১৬-এর ক্ষেত্রে হালকা গাড়ি চালনার বৈধ হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চালকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
আরও পড়ুনপাকিস্তানের বৃত্তি, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা২২ মার্চ ২০২৫১০. পদের নাম: রিসিপশনিস্টপদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিস ইউনিকোড ও বেসিক ডেটাবেজ পরিচালনায় প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা থাকতে হবে। উচ্চতা পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি; নারীদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। বুকের মাপ উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ ইঞ্চি (সম্প্রসারিত)।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১১. পদের নাম: ফিল্ড স্টাফপদসংখ্যা: ১০৯
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। উচ্চতা পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি; নারীদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট। বুকের মাপ উভয় ক্ষেত্রে ৩১-৩৩ ইঞ্চি (সম্প্রসারিত)।
বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
আরও পড়ুনবিসিআইসিতে বড় নিয়োগ, পদ ৬৮৯২১ মার্চ ২০২৫১২. পদের নাম: টেলিফোন লাইনম্যানপদসংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেড কোর্সে উত্তীর্ণ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
১৩. পদের নাম: অফিস সহায়কপদসংখ্যা: ২৪
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
বয়স
সব পদে আবেদনকারীর বয়স ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
আরও পড়ুনভূমি সংস্কার বোর্ডে নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে২০ মার্চ ২০২৫আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
আরও পড়ুনকোল পাওয়ার জেনারেশনে চাকরি, মূল বেতন ১ লাখ ৭৫ হাজার, আছে সার্বক্ষণিক গাড়ি১৮ মার্চ ২০২৫আবেদন ফিঅনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৩ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা; ৪ থেকে ১০ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা এবং ১১ থেকে ১৩ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। পরীক্ষার ফির সঙ্গে বিধিমোতাবেক ভ্যাট ও কমিশন যুক্ত হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ৬ থেকে ২০ এপ্রিল ২০২৫, রাত ১২টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুনডাক জীবন বীমা ঢাকা অঞ্চলে চাকরি, ৯ ক্যাটাগরিতে পদ ৩০১৮ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমম ন র স জ প অন য ন ৫ ফ ট সমম ন প স পদ র ন ম গ র ড ১৬ য গ যত
এছাড়াও পড়ুন:
মুহাম্মদ ইলিয়াসের তাবলিগি দর্শন
মানুষের হৃদয়ে ঈমানের আগুন জ্বালানোর প্রয়াসে শায়খ মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভী (১৮৮৫-১৯৪৪) গড়ে তুলেছিলেন জামায়াতে তাবলিগ, যা বিশ্বব্যাপী দাওয়াতের এক অপূর্ব নজির। তাঁর বাণী ও উপদেশের সংকলন ‘মালফুজাত’ নামে আরবি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে, যা তাঁর দাওয়াতি দর্শন ও তরবিয়তি পদ্ধতির এক জীবন্ত দলিল। দামেস্কের দারুল কলম থেকে প্রকাশিত এই গ্রন্থ, শায়খ আদিল হাররাজি আল-ইয়ামানি আন-নাদভির তত্ত্বাবধানে সম্পাদিত, তাবলিগ জামায়াতে মূল দর্শনের প্রাথমিক উৎস হিসেবে বিবেচিত। এটি শুধু মুহাম্মদ ইলিয়াসের বাণীর সংকলন নয় বরং একটি ঐতিহাসিক ও দাওয়াতি দলিল, যা আধুনিক ইসলামি আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্মূল্যায়নের দাবি রাখে।
‘মালফুজাত’-এর শিক্ষা
শায়খ মুহাম্মদ ইলিয়াসের মজলিস মালফুজাত সংরক্ষণ করেছেন তাঁর শিষ্য মুহাম্মদ মানজুর। তাবলিগ জামায়াতে ছয়টি মূলনীতি—কালিমা, নামাজ, ইলম ও জিকর, ইকরামুল মুসলিমিন, ইখলাস ও নিয়ত এবং আল্লাহর পথে বের হওয়ার ভিত্তিতে গ্রন্থটি রচিত। তিনি তাওহিদকে (আল্লাহর একত্ব) নাজাতের মূল ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘তাওহিদের দুর্বলতা মুসলিমদের অধঃপতনের কারণ’। তিনি ফরজ ইবাদতের প্রাধান্য, জিকিরের প্রাচুর্য এবং তাকওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ফরজগুলোর মর্যাদা নফলের চেয়ে অনেক উঁচুতে। নফলের উদ্দেশ্য ফরজগুলোর ঘাটতি পূরণ করা’ (মালফুজাত, দারুল কলম, ২০২৫)।
তাঁর দাওয়াতি পদ্ধতি ছিল সরল কিন্তু গভীর। তিনি আল্লাহর পথে বের হওয়াকে আত্মশুদ্ধির মাধ্যম হিসেবে দেখতেন, যা তাবলিগের একটি বৈশিষ্ট্য। তিনি রিয়া (লোকদেখানো) ও বিতর্ক এড়ানোর পরামর্শ দেন, বলেন, ‘ইখলাস (খাঁটি আল্লাহর জন্য) ছাড়া কোনো কাজ কবুল হয় না।’ তাঁর দৃষ্টিতে, দাওয়াতের লক্ষ্য হলো আল্লাহর আদেশকে মানুষের স্বভাবে পরিণত করা, যাতে নিষিদ্ধ কাজ তার কাছে অপছন্দনীয় হয়। তিনি জিকিরকে এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রধান উপায় হিসেবে বিবেচনা করতেন।
শায়খ ইলিয়াসের দাওয়াতি পদ্ধতি ছিল তাওয়াজ্জুহ বা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের পরিবর্তে তাজকিয়া (আত্মশুদ্ধি) ও ইখলাসের ওপর কেন্দ্রীভূত। তিনি জটিল তাত্ত্বিক আলোচনার পরিবর্তে সরল নসিহতের ওপর জোর দিতেন। তাঁর মতে, দাওয়াত হবে এমন, যেন ‘আল্লাহর আদেশ মানুষের স্বভাব হয়ে যায়’। তিনি আল্লাহর পথে বের হওয়াকে তুলনা করতেন সাহাবিদের ত্যাগের সঙ্গে, যা দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক উন্নতি আনে। তিনি বলেন, ‘দাওয়াতে আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার ফরজ, কিন্তু কতজন এই ফরজ পালন করে?’ (মালফুজাত, দারুল কলম, ২০২৫)।
আরও পড়ুনসুরা হুমাজাতে চারটি পাপের শাস্তির বর্ণনা০৬ মে ২০২৫ঐতিহাসিক পটভূমি
মুহাম্মদ ইলিয়াস ভারতের কান্ধলায় একটি আলেম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দেওবন্দি সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে তাঁর শৈশব কাটে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন, সাধারণ মুসলিমদের ধর্মীয় অজ্ঞতা এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ তাঁর দাওয়াতি চিন্তার পটভূমি। তিনি বিশ্বাস করতেন, শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মুসলিমদের সংস্কার করতে পারবে না। তাই তিনি একটি জনগণভিত্তিক, বিকেন্দ্রীকৃত আন্দোলন শুরু করেন, যেখানে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা দাওয়াতে অংশ নেয়। তিনি নবীর (সা.) মক্কার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হন, যেখানে তিনি ঘুরে ঘুরে মানুষকে দাওয়াত দিতেন। তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) মক্কায় তাওয়াফ করে মানুষকে হকের দাওয়াত দিতেন’ (মালফুজাত, দারুল কলম, ২০২৫)।
গ্রন্থের গঠন ও সম্পাদনা
মালফুজাত তাঁর মজলিসের সংকলন হলেও এটি একটি সুশৃঙ্খল দাওয়াতি দলিল। সম্পাদনা করেছেন আবুল হাসান আলী নাদভি (রহ.)-এর শিষ্য শেখ আদিল হাররাজি। মুফতি মুহাম্মদ তকী উসমানী, ড. খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানি ও নূরুল হাসান রাশিদ কান্ধলভী প্রমুখের মতো পাকিস্তান ও ভারতের শীর্ষস্থানীয় ইসলামবেত্তাদের ভূমিকা গ্রন্থটিকে মহামূল্য করে তুলেছে। তাদের ভূমিকাগুলো গ্রন্থের দাওয়াতি ও ঐতিহাসিক পটভূমি বুঝতে সাহায্য করবে। আলী নাদভির সঙ্গে মুহাম্মাদ ইলিয়াসের আধ্যাত্মিক সম্পর্ক এবং তাবলিগের বিশ্বব্যাপী প্রভাবও এতে তুলে ধরা হয়েছে।
আজ যখন মুসলিম বিশ্ব নানা সংকটের মুখোমুখি, এই গ্রন্থ আমাদের তাওহিদ, ইখলাস ও তাজকিয়ার প্রতি ফিরে যেতে আহ্বান জানায়। এটি প্রতিটি দাঈ ও মুসলিমের জন্য একটি পাঠ্য, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ‘দাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর দ্বীনকে জীবন্ত করে তুলতে হবে।’
সূত্র: আল-জাজিরা ডটনেট
আরও পড়ুন সুরা ইউসুফের সারকথা১৫ জুলাই ২০২৪