ইকবাল আহমেদ ওবিই আবারও এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান
Published: 24th, March 2025 GMT
৯ বছর পর আবার এনআরবি ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইকবাল আহমেদ ওবিই। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ইকবাল আহমেদ এনআরবি ব্যাংক পিএলসির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সীমার্ক গ্রুপ অব কোম্পানিজ ও আইবিসিও ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী।
ইকবাল আহমেদ একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী। ছোট পারিবারিক ব্যবসা থেকে সীমার্ক গ্রুপ আজ বড় হয়েছে—বিশ্বব্যাপী হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য সরবরাহ করে এই কোম্পানি। ১৯৭৬ সালে ইকবাল ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি (বর্তমানে আইবিসিও লিমিটেড) প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার এবং সব ধরনের হিমায়িত খাদ্যপণ্য আমদানি ও বিতরণ করে এ প্রতিষ্ঠান। খবর বিজ্ঞপ্তি
সীমার্ক যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছে। ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অবদানের জন্য ব্রিটেনের রানির সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বীকৃতি ওবিই (অফিসার অব দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) অর্জন করেন তিনি। এ ছাড়া ২০০২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় প্রতিবছর তিনি বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠ রপ্তানিকারক হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সিআইপির মর্যাদা (বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) পেয়েছেন।
ইকবাল আহমেদ যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের অনেক দাতব্য সংস্থার সঙ্গে জড়িত। ইউকেবিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ বলেন, এ প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের তরুণদের ব্যবসা করতে ও উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করে। তিনি যুক্তরাজ্যে ইকবাল ব্রোস ফাউন্ডেশন নামে একটি নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান গঠন করেছেন। এই প্রতিষ্ঠান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইকব ল আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।
এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।
এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।