ঢাকার শেয়ারবাজারে হঠাৎ ট্রেজারি বন্ডের বড় লেনদেন, কৌতুহল বাজারে
Published: 24th, March 2025 GMT
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সোমবার ট্রেজারি বন্ডের লেনদেনে হঠাৎ করে বড় চমক দেখা গেছে। এদিন ঢাকার বাজারে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ২০ বছর মেয়াদি একটি ট্রেজারি বন্ড। হঠাৎ করে একটি ট্রেজারি বন্ডের বিপুল এই লেনদেন বাজারে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এমনিতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি ট্রেজারি বন্ডের খুব বেশি লেনদেন হয় না। এর মধ্যে আজ হঠাৎ করে একটি বন্ড লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসায় সবার মধ্যে একধরনের কৌতূহল তৈরি হয়। কারা এই বন্ড কিনেছেন বা কারা বিক্রি করল, এ নিয়ে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একে অপরের কাছ থেকে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আজ ঢাকার বাজারে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ২০ বছর মেয়াদি টিবি (ট্রেজারি বন্ড) ০৭৪৪ বন্ডটি। এদিন এক লেনদেনেই এই বন্ডের ৪ লাখ ইউনিটের হাতবদল হয়। মাত্র একটি আদেশে (ট্রেড) এই লেনদেন সম্পন্ন হয়। যার বাজারমূল্য ছিল ৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তাতে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা করে নেয় এটি। অর্থাৎ একজনমাত্র বিক্রেতা বন্ডটির চার লাখ ইউনিট বিক্রি করেছেন। আর একজন ক্রেতা তা কিনেছেন।
হঠাৎ করে একটি ট্রেজারি বন্ডের বিপুল লেনদেনের কৌতূহল থেকে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হয়। তাতে জানা যায়, লেনদেনটি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা আইসিবির সহযোগী ব্রোকারেজ হাউস আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিংয়ে। আইসিবিরই নিজস্ব দুটি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে এই লেনদেন হয়। অর্থাৎ এক তহবিল থেকে বিক্রি করা হয়, অন্য তহবিল থেকে তা কিনে নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানির উপপ্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান এ লেনদেনের সত্যতা প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আইসিবির একটি তহবিল থেকে এই বন্ড বিক্রি করা হয়েছে আর অন্য আরেকটি থেকে তা কেনা হয়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০ বছর মেয়াদি এ বন্ড গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বন্ডটি ইস্যু করা হয় গত বছরের ২৮ জুলাই। এটির মেয়াদ শেষ হবে ২০৪৪ সালের ২৮ জুলাই। বন্ডটির মেয়াদ রয়েছে ১৯ বছর ৪ মাস ৪ দিন। বর্তমানে এটির কুপন রেট বা সুদহার ১২ দশমিক ৭৫। বন্ডটির অভিহিত মূল্য বা ফেস ভ্যালু ১০০ টাকা।
ঢাকার বাজারে আজ লেনদেন হওয়া বন্ডটির ইউনিটের দাম ১ টাকা ৩১ পয়সা বা প্রায় সোয়া ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬ টাকা ৮৮ পয়সায়। এ দামেই ৪ লাখ ইউনিটের হাতবদল হয়। বন্ডটির মোট ইউনিটের সংখ্যা ২১ কোটি ৬৬ লাখ ৮২ হাজার। সরকারের পক্ষে বন্ডটি ইস্যু করে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল নদ ন র শ র ষ শ য় রব জ র ইউন ট র ক ত হল বন ড র আইস ব
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।
শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা