জাতীয় পা‌র্টি জে‌পির চেয়ারম‌্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বাসায় বোমা হামলার ঘটনা ঘ‌টে‌ছে উল্লেখ ক‌রে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জা‌নি‌য়ে‌ছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘটনায় জ‌ড়িত‌দের দৃষ্টান্তমূ‌লক বিচার দা‌বি ক‌রেন।

দেশে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে দা‌বি ক‌রে হাওলাদার ব‌লেন, “আনোয়ার হোসেন মঞ্জু একজন দে‌শের বর্ষীয়ান রাজনী‌বিদ ও বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা। এই দেশ গড়ার পেছনে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি ‌কিছু‌দিন আগে আমাদের সম্মেলনে এসে তার মতামত পেশ করেছেন। তার ওই মতামত কারো ভালো লাগতে পারে কারো খারাপ লাগতে পারে।কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক দুদিন আগে তার বাসায় বোমা হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় গোটা জা‌তি হতবাক হ‌য়ে‌ছে। তাহ‌লে  অন্তর্বর্তী সরকা‌র আম‌লে কি বাক স্বাধীরতা নেই। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জা‌নিয়ে জ‌ড়িত‌দের বিরু‌দ্ধে ব‌্যবস্থা গ্রহ‌ণের জন‌্য সরকা‌রের কা‌ছে দা‌বি জানা‌চ্ছি।”

আরো পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলার এই প‌রি‌স্থি‌তিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: আনিসুল

জিএম কাদেরকে কাজী ফিরোজ: দল এরশাদের, আপনি বের করে দেওয়ার কে?

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজ‌নৈ‌তিক দলগু‌লোর ম‌ধ্যে বি‌ভেদ চল‌ছে। কেউ বল‌ছেন আগে সংস্কার প‌রে নির্বাচন, আবার কেউ কেউ নির্বাচন আগে দি‌তে হ‌বে। এর মধ্যে দে‌শের আইনশৃঙ্খলা প‌রি‌স্থি‌তির উন্ন‌তি নাই। নির্বাচন নি‌য়ে কালো মেঘ সৃষ্টি হয়েছে।সব দলের সাথে আলোচনা ক‌রে সম‌ঝোতার মাধ‌্যমে এই কালো মেঘ কেটে যেতে পারে।”

তি‌নি ব‌লেন, “যখনই ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখনই দেশে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হলে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণ‌যোগ‌্য নির্বাচনের বিকল্প নেই।”

জাতীয় পার্টি সব সময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের রাজনীতিতে বিশ্বাস ক‌রে উল্লেখ ক‌রে হাওলাদার ব‌লেন, “আমরা প্রতিহিংসা রাজনীতি করি না। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা একসময় আমাদেরকে স্বৈরাচার বলতো। কিন্তু তারা প্রমাণ করতে পারেনি আমরা স্বৈরাচার। বরং যে যতটুকু স্বৈরাচার ব‌লে‌ছে প্রকৃ‌তি এখন তাদের দ্বিগুণ ফেরত দি‌চ্ছে।”

এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম‌্যান ব‌্যা‌রিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নির্বাহী চেয়ারম‌্যান অ্যাডভোকেট মো.

মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসি‌ডিয়াম সদস‌্য সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আকতার, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভুইয়া, সরদার শাহ জাহান, হারুন আর রশিদ, নজরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম মিলন, ইয়াহিয়া চৌধুরী মো. ইয়াকুব হোসেন,  শেখ আলমগীর হোসেন, নীগার সুলতানা রানী, মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, নাসির উদ্দিন সরকার, গোলাম মোস্তফা, হাফেজ মাহমুদুর রহমান, সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী, শারমিন পারভীন লিজা, মিজানুর রহমান দুলাল, তাসলিমা আকবর রুনা, শারমিন আকতার আবুল কালাম আজাদ, এম হাসেম উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফের পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে জিম্মি রাখা আরও ২১ নারী ও শিশু উদ্ধার

সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে জিম্মি রাখা নারী, শিশুসহ ২১ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ দল।

কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গতকাল বুধবার মধ্যরাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের করাচিপাড়া ঘাটসংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। পাচারের জন্য নারী, শিশুসহ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল—এমন খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান চালায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আস্তানাটি তল্লাশি করে ২১ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিক।

উদ্ধার হওয়াদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তাঁদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

এর আগে ১ অক্টোবর বাহারছড়ার জুম্মাপাড়া পাহাড়সংলগ্ন এলাকা থেকে আটজন নারী ও শিশুকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে একই এলাকার পাহাড় থেকে তিন দালালসহ তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর কচ্ছপিয়া এলাকার পাহাড় থেকে পাঁচ অপহৃতকে উদ্ধার এবং দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। এর আগের দিন র‍্যাব ও বিজিবি অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার ও ৮৪ জনকে উদ্ধার করে। ১৮ সেপ্টেম্বর কোস্টগার্ড ৬৬ জনকে উদ্ধার করে। ১৬ সেপ্টেম্বর বিজিবি ১২ পাচারকারীকে আটক ও ১১ জনকে উদ্ধার করে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে টেকনাফ থেকে এখন পর্যন্ত ৬৮ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার এবং ২০১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শীত মৌসুমে সাগরপথে মানব পাচারের প্রবণতা বাড়ে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, বুধবার উদ্ধার হওয়া সাত রোহিঙ্গা নারী ও একজন শিশুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আরও ২১ নারী ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের আগামীকাল শুক্রবার আদালতে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈরী আবহাওয়ায়ও উৎসবের আমেজ, এক ঘণ্টায় ১২৭ প্রতিমা বিসর্জন
  • টেকনাফের পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে জিম্মি রাখা আরও ২১ নারী ও শিশু উদ্ধার
  • অনীষাদের পূজার আনন্দ বাড়িয়ে দিলেন প্রধান উপদেষ্টার সহকারী
  • চার দিন পর স্বাভাবিক যান চলাচল, জনজীবনে স্বস্তি
  • পূজামণ্ডপের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জানতে ও ব্যবস্থা নিতে ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপ’ চালু এনটিএমসির
  • দুর্গাপূজা যাতে শান্তিপূর্ণ না হতে পারে, সে জন্যই খাগড়াছড়ির ঘটনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • সত্যকে অস্বীকার করা দুঃখজনক: হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ
  • খাগড়াছড়িতে আজও অবরোধ চলছে, স্থবির জনজীবন
  • খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তরণে কাজ করছে বিজিবি
  • `কিছুই নাই, সব ছাই, ছাইয়ের ভেতরে ঢুকে যেতে ইচ্ছে করছে'