ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির জন্মদিন নিয়ে একসময় বেশ আলোচনা-সমালোচনা হতো। তবে মা হওয়ার পর তিনি জানিয়ে দেন, জন্মদিন আর জাঁকজমক করে পালন করবেন না; বরং সন্তানের জন্মদিন পালন করবেন ধুমধাম করে। 

গত ১০ আগস্ট ছেলের তৃতীয় জন্মদিন নিজের মতো করে উদযাপন করেন পরীমণি। সবকিছু ঠিকই চলছিল। কিন্তু ছয় দিন পর হঠাৎই পরীমণি দেখলেন, ব্যক্তিগত সেই আয়োজনের ভিডিও ও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, কিছু অতিথি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানকে ব্যবসায়িক ভ্লগ বানিয়ে সামাজিক মাধ্যম ভরিয়ে ফেলেছেন। এ নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন এই নায়িকা।

শনিবার ফেসবুকে পরীমণি লিখেছেন, “আমার সব রকম আনন্দে যাদের আমি কাছে চাইছি তারা প্রত্যেকেই প্রমাণ করছে তারা আমার জীবনে মলমূত্র মাত্র। ১০ তারিখে আমার বাচ্চাদের নিয়ে একান্ত ব্যক্তিগত একটি ইভেন্ট করেছিলাম। কিন্তু কিছু উল্লুক বেহায়ার মতো এসে রিলস আর ভ্লগে সামাজিক মাধ্যম ভরিয়ে ফেলছে! অথচ আমি নিজে এখনও কোনো ছবি পোস্ট করিনি।”

গেল মাসেই পরীমণি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন— তার সন্তানরা ব্যবসায়িক কোনো উপাদান নয়। তাদের নিয়ে যেন কনটেন্ট বানানো না হয়। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত আয়োজনেও সেই ইচ্ছা রক্ষা হলো না।

ক্ষোভে পরীমণি আরও লিখেছেন, “যারা অনুষ্ঠানে এসে মানুষের জীবনের অতি মূল্যবান সময়টা পাবলিক করে তারা আমার গালি খাবা। তোমরা ভিখারির মতো মাসভরে কিছু ডলার কামাও। সামনে পেলে এই ধরনের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আমি তিন মিনিট থাপড়িয়ে দেব।”

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাবিতে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি)' এর উদ্যোগে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়া সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য খাদ্য অধিকার আইন, সিভি রাইটিং ও বিদেশে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত সেশন আয়োজন করা হয়।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে উক্ত সেশনটি অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

জাবিতে পোষ্য কোটা বহাল, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

জাবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২১ সেপ্টেম্বর

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, সহকারী প্রক্টর ও ১৬ নম্বর ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ শামীমা নাসরিন জলী, সহকারী প্রক্টর ও ১০ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ রেজাউল রকিব, মীর মশাররফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, সিওয়াইবি জাবি শাখার সভাপতি জিএম তাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হোসনী মোবারক, সাবেক সভাপতি মো. আরিফ সেনা, ইখতিয়ার মাহমুদ ও মো. নাঈম ইসলাম।

প্রাধ্যক্ষ শামীমা নাসরিন জলী বলেন, “অসৎ ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে খাদ্যে ভেজাল দিবে কিন্তু আমাদেরও উচিত এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে ছেলে-মেয়েরা অল্পতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলছে। এজন্য পরিমিত খাদ্য, অনর্থক খাবারে ভুল না ধরা, সঠিক সময়ে ঘুমানো ও কাচা ফল খাওয়া প্রয়োজন।”

প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ রেজাউল রকিব বলেন, “আমরা সচেতনভাবেই নিজের জন্য এবং অন্যের জন্য খাদ্যে ক্ষতিকর ভেজাল দেই, যা আমাদের উভয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সিওয়াইবি জাবি শাখা ক্যাম্পাসের ভেতরে ভেজালমুক্ত খাদ্য ও নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করেন। যখন যেখানে আমাদের সহযোগিতা কামনা করেন, তখন সেখানেই আমরা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি‌।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ বলেন, “আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে নির্দিষ্ট সময় ঘুম ও স্বাস্থ্যকর খাবার প্রয়োজন। ক্যাম্পাসের ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।আশা করি, সিওয়াইবি বিগত দিনের মতো শিক্ষার্থীদের ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে আরো সচেতন করবে এবং ভেজালমুক্ত খাদ্য ও নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিতে আগামী দিনেও আমাদেরকে সহযোগিতা করবে।”

কনসাস কনজ্যুমারস সোসাইটির (সিসিএস) নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, “সিসিএস এর যাত্রা শুরু হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়। এখন বাংলাদেশের ৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৩৫০টি উপজেলায় আমাদের কমিটি আছে, যেখানে প্রায় ২ লাখ ভলান্টিয়ার রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংগঠন। আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে উচ্চশিক্ষিত শিক্ষার্থীদের খাদ্য ভেজাল ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতন করে সামাজিক পরিবর্তন সাধন করা। সে লক্ষ্যেই সিসিএস ও এর যুব শাখা সিওয়াইবি কাজ করে যাচ্ছে।”

জাবি/আহসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ