নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে এক ভুয়া র‍্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। এ সময় নগদ ১ লাখ ১২ হাজার ৪০০ টাকা, ভুয়া আইডি কার্ড ও বিভিন্ন জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত ভুয়া সনদ জব্দ করা হয়।

শনিবার (১৬ আগস্ট) র‍্যাব-১১ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার চৌমুহনী রোডের হেলথ কেয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আরো পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করে পালানো আল-আমিন গ্রেপ্তার

সাংবাদিক তুহিনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে স্বাধীন: র‌্যাব

গ্রেপ্তার মো.

ইয়াসিন হোসেন (২৫) সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের হাজী আব্দুল মুন্সী নতুন বাড়ির মৃত ইউসুফের ছেলে।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আরিফ হোসেন (২১) নামে এক শিক্ষার্থীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ইয়াসিন হোসেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ইয়াসিন নিজেকে র‍্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রকে জানান, তিনি ঢাকায় কর্মরত আছেন। মোবাইলে র‍্যাবের পোশাক পরিহিত ছবি প্রদর্শন করে। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সহকারী কাস্টমস পদে নিয়োগ দিতে পারবেন।

এভাবে প্রলোভন দেখিয়ে দুই ধাপে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব সদস্যরা চৌমুহনী রোডের হেলথ কেয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।  

র‍্যাব-১১ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, “এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মালামালসহ আসামিকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/সুজন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ, বিচার দাবি

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে গৃহবধূ ফাতেমাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার।

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

পরকীয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কথা কাটাকাটি, যুবককে কুপিয়ে হত্যা

বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা

নিহত গৃহবধূ ফাতেমার পিতা মো. আসাদ আলী (আসাবুদ্দিন) লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, “আমার মেয়েকে গত ১৪ আগস্ট রাতে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর বালাডোবা গ্রামে স্বামীর বাড়িতে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়।”

তিনি জানান, ফাতেমার স্বামী শামীম মোল্লা জীবিকার তাগিদে টাঙ্গাইল জেলায় থাকলেও নিয়মিত পরিবারের খোঁজখবর নিতেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারী ও মাদকসেবী ফাতেমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করত। ঘটনার রাতে ফাতেমার শাশুড়ি ও জা নিজ বাড়িতে ছিলেন না। তারা আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। এ সময় প্রথমে সফিকুল ইসলাম সফি নামের এক যুবক তার বাড়িতে প্রবেশ করলে স্থানীয় কয়েকজন তাকে আটক করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেয়। এরপর রাত গভীর হলে সফিকুলসহ প্রায় ১২ জন সংঘবদ্ধভাবে ফাতেমার ঘরে প্রবেশ করে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা করে।

আসাদ আলীর অভিযোগ, ঘটনার পর বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়ার প্রত্যক্ষ তদবিরে স্থানীয় পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। নামাজের চর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এসআই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহালে গলায় ও শরীরে জখম থাকার পরও আত্মহত্যার কাহিনি সাজায় পুলিশ। এমনকি থানায় মামলা করতে গেলে জোরপূর্বক সাদা কাগজে তার (আসাদ আলীর) নিকট থেকে স্বাক্ষর নিয়ে মেয়ের আত্মহত্যার স্বীকারোক্তি তৈরি করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত তিনি মেয়ের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও পাননি তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে মেয়ের শাড়ি উদ্ধার করা হলেও লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সালোয়ার কামিজ পরিহিত অবস্থায়। এ নিয়ে গ্রামে নানা প্রশ্ন উঠলেও পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও মামলা ও তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। বরং ভিকটিমের পরিবারকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ফাতেমার বাবা মো. আসাদ আলী বলেন, “আমার মেয়েকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা টাকার বিনিময়ে সত্য গোপন করছে। একজন পিতা হিসেবে আমি আমার মেয়ে হত্যার ন্যায়বিচার চাই। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঢাকা/সৈকত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুড়িগ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ, বিচার দাবি