রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর এক কাতলা বিক্রি হলো ৭০ হাজার টাকায়
Published: 25th, March 2025 GMT
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর একটি কাতলা মাছ প্রায় ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া মাছবাজারে প্রায় ২৮ কেজি ওজনের মাছটি কেনেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ।
পরে দুপুরের দিকে তিনি নারায়ণগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর কাছে মাছটি বিক্রি করেন। আজ সকালে পদ্মা নদীর বাহিরচর দৌলতদিয়া এলাকায় জেলে শওকত হোসেনের জালে কাতলাটি ধরা পড়ে।
স্থানীয় মৎস্যজীবীদের কয়েকজন জানান, আজ ভোরের দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের মাঝামাঝি পদ্মা নদীতে জাল ফেলেন জেলে শওকত। ভাসতে ভাসতে চলে যান বাহিরচর দৌলতদিয়ায়। জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় মাছটি। পরে কাতলাটি বিক্রির জন্য নিয়ে যান দৌলতদিয়া ঘাট মাছবাজারে। এ সময় সেখানে স্থানীয় একটি আড়তে কাতলাটি বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ কাতলাটি কিনে নেন।
শাহজাহান শেখ জানান, মাছটি প্রায় ২৮ কেজি ওজনের। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ২ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ৬৭ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন এটি। আজ দুপুরের দিকে রিয়াজ আহমেদ নামের নারায়ণগঞ্জের এক ব্যবসায়ী মাছটি কেনায় আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর কেজিপ্রতি ১০০ টাকা লাভে ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে ৭০ হাজার টাকায় এটি বিক্রি করেন। তাঁর দাবি, চলতি মৌসুমে এই প্রথম এত বড় কাতলা ধরা পড়েছে।
কাতলাটির ক্রেতা রিয়াজ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, পদ্মায় ধরা বড় মাছের চাহিদা সব সময় আছে। দেখতে যেমন সেরা, স্বাদেও অনন্য। তাই বেশি দাম হলেও পছন্দের তালিকায় থাকায় মাছটি কিনে নেন।
ফেরিঘাট এলাকার কয়েকজন মাছ বিক্রেতা বলেন, পদ্মা নদীর মাছের স্বাদ ও গুণগত মান ভালো হওয়ায় ক্রেতারা উচ্চমূল্যেও মাছ কিনতে আগ্রহী হন। বর্তমানে পদ্মার পানি কমে বিভিন্ন স্থানে নালায় পরিণত হয়েছে। সেসব নালায় কাতলার মতো বড় মাছ ধরা পড়ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব