রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৮ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ। অনলাইনে ঢাকার গুলশানের এক ব্যবসায়ীর কাছে ৭০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ভোরে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় জেলে শওকত হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলে শওকত হালদার তার সঙ্গীদের নিয়ে ভোরে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট ও পাটুরিয়া ঘাটের মাঝামাঝি পদ্মা ও যমুনার মোহনায় জাল ফেলেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর জাল টান দিলে দেখেন, একটি বড় কাতল মাছ আটকা পড়েছে। পরে তিনি মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার আনু খাঁর আড়তে নিয়ে যান। সেখানে ওজন দিলে জানা যায়, মাছটির  ওজন ২৮ কেজি।

আরো পড়ুন:

সাগরে মাছ নেই, জেলে পরিবারে ঈদের আনন্দ ম্লান

পায়রায় জাহাজে কাটা পড়ছে জাল-দড়ি, নিঃস্ব হচ্ছে জেলেরা

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ি শাহজাহান শেখ জানান, সকালে আনু খাঁর আড়তে ২৮ কেজি ওজনের কাতল মাছটি উন্মুক্ত নিলামে উঠলে আমি ২ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে মোট ৬৭ হাজার ২০০ টাকা কিনে নেই। পরবর্তীতে মাছটি বিক্রির জন্য অনলাইনে পোস্ট করি। ঢাকার গুলশানের এক ব্যবসায়ী ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে ৭০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.

নাজমুল হুদা বলেন, ‍‍“পদ্মা যমুনার মোহনায় খাদ্যের প্রাচুর্য বেশি। যে কারণে পদ্মা ও যমুনার মোহনায় মাছ বেশি থাকে। এখানে পানির গভীরতা বেশি থাকায় বড় বড় মাছ বিচরণ করে। বড় আকৃতির কাতল মাছ প্রাপ্তির বিষয়টি মৎস্য বিভাগের জন্য ভালো সংবাদ।”

ঢাকা/রবিউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ র ম হন য় দ লতদ য় ২৮ ক জ

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের বিমা দাবি নিষ্পত্তির অনুরোধ বিটিএমএর

গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার বিমা দাবি নিষ্পত্তি করে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ। তাদের অভিযোগ, বিমা কোম্পানিগুলো নানা ধরনের পদ্ধতিগত জটিলতা ও পলিসির শর্তের অপব্যাখ্যা করে বিমা দাবি পরিশোধে বিলম্ব করছে। অনেক ক্ষেত্রে দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা–সংক্রান্ত ক্ষতির অজুহাতে বিমা দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, যা বিমাশিল্পের মূলনীতির পরিপন্থী।

আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে দেওয়া এক চিঠিতে বিমা দাবি পরিশোধের অনুরোধ জানান বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক সদস্যের কারখানা, গুদাম ও অন্যান্য স্থাপনা ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। আকস্মিক এই সহিংসতায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, সব ধরনের অপ্রত্যাশিত ক্ষতি মোকাবিলায় প্রায় প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানই যথাযথ প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে বিমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অগ্নিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির বিপরীতে বিমা পলিসি নিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ঘটনার পর বছর পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ বিমা দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

চিঠিতে বিটিএমএ সভাপতি জানান, গত ৩ মার্চ সাধারণ বীমা করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার উত্থাপিত বিমা দাবি নিয়ে সভা হয়। এতে বিমা দাবি নিয়ে বিভিন্ন বিমাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির বিবরণ ও ব্যাখ্যা দেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঘটনাগুলো গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হওয়ায় তা স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার পলিসি (এসএফপি) বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্ক (আইএআর) পলিসির আওতায় কোনো বিমা দাবি পরিশোধযোগ্য হবে না। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার মালিকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে সব নন-লাইফ বিমা কোম্পানিকে সুস্পষ্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে গত বছরের জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিমা দাবি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, বিমা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির বিধানটির কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের বিমা দাবি নিষ্পত্তির অনুরোধ বিটিএমএর