নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র দেখতে চায় ভারত
Published: 4th, April 2025 GMT
নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দেখতে চায় ভারত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাংকক সফর নিয়ে শুক্রবার এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি এ কথা বলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূসকে যখন বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা জানান তখন তিনি প্র্যোজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা জানান।
এ বিষয়ে বৈঠক সূত্র আরও জানায়, যদি আরও কিছু সংস্কার প্রয়োজন পড়ে সে ক্ষেত্রে বাকি সংস্কার সম্পন্ন করে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হয়, এ ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। তবে ভারত বিষয়টির নোট নিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব