বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, “আগামীতে সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করে দেশের পুঁজিবাজারকে আরো শক্তিশালী করা হবে।”

রবিবার (৬ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মু.

মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখসহ বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

ট্রাম্পের শুল্ক
প্রভাব পড়বে না পুঁজিবাজারে, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

অ্যারামিট সিমেন্টের অর্ধবার্ষিকে লোকসান কমেছে

বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা বিএসইসির সব গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অনুষ্ঠানে ঈদুল ফিতরের আনন্দ উদযাপনের কথা উল্লেখ করে এবারের ঈদকে স্বস্তির ঈদ বলে মন্তব্য করেন। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং উক্ত বিষয়ে উত্তরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে চেষ্টা চলছে বলে জানান।

তিনি সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে সাফল্যের বিষয়টি দেশের জন্য বিরাট অর্জন ও খুশির সংবাদ বলে উল্লেখ করেন।

দেশ ও দেশের অর্থনীতির মঙ্গল কামনা করেন এবং বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে দেশের অর্থনীতি ও কল্যাণে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের কথা বলেন তিনি।

এছাড়াও বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা দেশের পুঁজিবাজারের অংশীজন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিদের সাথে কমিশনের সভা কক্ষে এবং চেয়ারম্যান মহোদয়ের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ পিএলসি (ডিএসই) এর চেয়ারম্যান মো. মোমিনুল ইসলাম ও ভারপাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহসহ ডিএসই’র বোর্ড সদস্যরা, চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচেঞ্জ পিএলসি’র (সিএসই) চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুর রহমান মজুমদারসহ সিএসই’র বোর্ড সদস্যরা, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ভারপাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মোতালেবসহ সিডিবিএলর বোর্ড সদস্যরা, সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. ওয়াহিদ উজ জামান ও ভারপাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ স ম খায়রুজ্জামানসহ সিসিবিএরের বোর্ড সদস্য, ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুনসহ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সহ-সভাপতি সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন, বিএসইসির গঠিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য বুয়েটের অধ্যাপক মো. মোস্তফা আকবর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন এবং বিএসইসির গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ ইয়াওয়ার সাইদ, এনবিআর’র সাবেক সদস্য শফিকুর রহমান ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার জিশান হায়দারসহ দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব র ড সদস য র কর মকর ত অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেবে বিএসইসি

শেয়ার সূচকের নিয়মিত পতনের মূল কারণ খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই সঙ্গে যেসব শেয়ারের অস্বাভাবিক বিক্রির চাপ দেখা যাচ্ছে, বাজার তদারকির মাধ্যমে সেসব শেয়ার চিহ্নিত করা হবে বলেও জানিয়েছে তারা।

দেশের পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক নিম্নমুখী প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। গতকাল মঙ্গলবার এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে তাৎক্ষণিক কিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী  আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এ ছাড়া সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব দেলোয়ার হোসেন, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের প্রতিনিধি ও বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সভার সিদ্ধান্ত হয়, বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় টক শো ও বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি বিআইসিএম ও বিএএসএম পুঁজিবাজার-বিষয়ক শিক্ষণীয় ভিডিও তৈরি করবে। ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে পুঁজিবাজার সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা প্রচার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতন করা হবে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানির শেয়ার অফলোড করা, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করা এবং টেক্সটাইল ও ওষুধ খাতের দেশী লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ার পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা হবে।

যেসব কোম্পানি এখনো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি, তাদের তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করার জন্য আকর্ষণীয় করছাড় দেওয়া হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং খাত থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সুযোগ সীমিত করা এবং পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে দেশের আর্থিক খাতের অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো হবে। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া আসন্ন জাতীয় বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য করছাড়ের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে। এর মধ্যে লভ্যাংশ আয়ের ওপর করছাড় এবং পুঁজিবাজারের বিনিয়োগের ওপর বিশেষ করছাড়ের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানি আনতে করসুবিধা দেবে সরকার
  • বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের
  • কর্মীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানালেন রাশেদ মাকসুদ
  • ২১ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে বিএসইসির আদেশ জারি
  • ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করল বিএসইসি
  • পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেবে বিএসইসি
  • বাজেটে লভ্যাংশ আয় ও বিনিয়োগে কর ছাড় থাকবে: বিএসইসি
  • বাজেটে লভ্যাংশ আয় ও বিনিয়োগে কর ছাড় থাকবে
  • পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়াতে ৬ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ
  • এপ্রিলজুড়ে দর পতন, আস্থা ফেরানোর উদ্যোগ নেই