বর পক্ষকে উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, থানায় মামলা
Published: 6th, April 2025 GMT
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কনের বাড়িতে আটকে রাখা বর পক্ষকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটে। গত শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের দুখু মিয়ার মেয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রামজীবন ইউনিয়নের মো.
আরো পড়ুন:
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৭
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
গত শুক্রবার বর পক্ষের অবরুদ্ধ লোকজনকে উদ্ধারে থানায় লিখিত আবেদন করা হয়। এরপর সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় কনে পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী গিয়ে পুলিশসহ বর পক্ষের লোকজনকে উদ্ধার করে।
সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওয়াজেদ হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, “ওসি ফোন করলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এলাকাবাসী কাজটা খুব খারাপ করেছেন। বারবার অনুরোধের পরও তারা আমাদের কথা শুনতে চাননি।”
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, “অবরুদ্ধ লোকজনকে উদ্ধারের জন্য গেলে কনে পক্ষের লোকজন আমাদের লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে লোকজন আমাকে ঘিরে ধরেছিল। সরকারি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দরগঞ জ ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
সুইডেনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩
সুইডেনে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার উপসালা শহরের ভাকসালা স্কয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় সুইডিস পুলিশ। খবর রয়টার্সের
প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এসভিটিকে জানান, তারা পাঁচটি গুলির শব্দ শুনেছেন এবং ওই এলাকার লোকজনকে দৌড়াতে দেখেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণ জনগণ গুলির শব্দ শোনার পর তাদের জানায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহতদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, এক ব্যক্তি একটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে। ওই ব্যক্তি অপরাধী বা প্রত্যক্ষদর্শী বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমন কেউ কি-না, তা এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়।’
সুইডেনের বিচারবিষয়ক মন্ত্রী গানার স্ট্রোমার বলেছেন, মন্ত্রণালয় পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। ঘটনাটির অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে ওরেব্রো শহরের একটি শিক্ষাকেন্দ্রে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গুলি করে ১০ জনকে হত্যা করেন। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি বেকার ও একাকী ছিলেন। হামলা চালানোর পর তিনি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।