আফরিনার (ছদ্মনাম) সঙ্গে তাঁর সহকর্মী সাবার (ছদ্মনাম) সম্পর্ক বেশ ভালো বলেই জানে সবাই। অন্তত একদিনের দুর্ঘটনার আগপর্যন্ত সবার সে ধারণাই ছিল। তবে সেই আফরিনাই একদিন সাবার পাঠানো ব্যক্তিগত কথার স্ক্রিনশট অন্য একজনকে পাঠাতে গিয়ে ভুলে সাবাকেই হোয়াটসঅ্যাপ করে ফেলেন।

বুঝতে পারার পর তাড়াহুড়া করে ডিলিট করতে গিয়ে দেখেন, এরই মধ্যে সাবা সেটা সিন করে ফেলেছেন। একমুহূর্তের ছোট্ট এই ভুলে সাবা আফরিনার ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। ভুল করে পাঠানো এই একটি বার্তাই ঘুণ ধরিয়ে দেয় তাঁদের সম্পর্কে।

আরেক ভুক্তভোগী তমাল (ছদ্মনাম)। তিনি বলছিলেন, ‘একবার তো বান্ধবীকে ফোন করে নিজের মতো হড়বড় করে কথা বলে যাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর ওপার থেকে ভেসে আসা কণ্ঠস্বর শুনে বুঝে ফেললাম ওটা বান্ধবীর নয়, তার মায়ের কণ্ঠস্বর ছিল!’

একটু অন্যমনস্ক থাকার কারণে আমরা হয়তো অনেকেই এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ি। এসব পরিস্থিতিতে পড়লে কী করবেন আর নিজেকে কীভাবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে দূরে রাখবেন?

ক্ষমা চানএমন পরিস্থিতিতে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সাক্ষাৎ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।

রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’

‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’সহ ৩৮ দাবি সংবাদকর্মীদের 

সাক্ষাৎকালে বিএসআরএফের সভাপতি মাসউদুল হক জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিবালয় বিটে কর্মরত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের সচিবালয়ের ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে পত্র পাঠানো হলেও এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। 

তিনি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের জন্য সচিবালয়ের ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা চালুর বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের পাশাপাশি ৫ নম্বর গেট দিয়েও অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশের  ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান। 

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বিএসআরএফের সভাপতির প্রস্তাব আন্তরিকভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। 

সাক্ষাৎকালে বিএসআরএফের সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন পিন্নু, সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদলসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ