বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম লুলাইন এলাকা থেকে তামাকক্ষেতের দুই মালিক ও সাত শ্রমিককে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়। অপহৃতদের মধ্যে তামাকক্ষেতের দুই মালিক হলেন— চকোরিয়ার সুরেজপুর এলাকার মো. ভুট্টু ও লামার লুলাইন এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের। সাত শ্রমিকের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তামাকক্ষেতের মালিক ও শ্রমিকরা কাজ শেষে খামার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেছেন, অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।
বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবদুল করিম বলেছেন, গত রাত ৩টার দিকে ৯ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। তাদের মধ্যে দুই জন তামাকক্ষেতের মালিক এবং বাকিরা শ্রমিক। তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।
ঢাকা/চাইমং/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।