পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের জন্য গঠিত ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের মেয়াদ প্রায় দুই বছর বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পুনর্নির্ধারিত মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। আগের নির্দেশনা অনুযায়ী এ তহবিলের মেয়াদ শেষ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়।
পুঁজিবাজারে খারাপ অবস্থা কাটাতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিটি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের নিজস্ব উৎস কিংবা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোর বিপরীতে অর্থ নিয়ে এ তহবিল গঠন করতে বলা হয়। ধারণ করা ট্রেজারি বিল বা বন্ড লিয়েন রেখে মাত্র ৫ শতাংশ সুদে রেপো নিতে পারে ব্যাংক। এ জন্য কোনো নিলামেরও প্রয়োজন হয় না। আর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য নির্ধারিত সীমার মধ্যে হিসাব হয় না। এরই মধ্যে সুদহার অনেক বাড়লেও বর্ধিত সময়ের জন্যও বিশেষ তহবিলের জন্য রেপোর সুদহার ৫ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে।
গতকালের সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশের পুঁজিবাজারে বিরাজমান অস্থির অবস্থার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন অংশীজন ও বিনিয়োগকারী ব্যাংকের মতামত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব পর্যালোচনায় পরিস্থিতি উন্নয়ন তথা আর্থিক খাতের সার্বিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে বিশেষ এ তহবিলের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানতে হবে। শর্তের মধ্যে রয়েছে বর্ধিত সময় তথা ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিশেষ তহবিলের বিনিয়োগ স্থিতি ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনতে হবে। এ জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত একটি কর্মপরিকল্পনা আগামী এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর এ তহবিলের অবশিষ্ট বিনিয়োগ থাকলে তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আবশ্যিকভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট বিবরণীতে রিপোর্ট করতে হবে।
বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি এ তহবিলের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপো সুবিধা নেওয়ার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের নির্দেশনায় রেপোর মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৯ ফেব্রুয়ারি। ব্যাংকগুলো তিন মাসের জন্য রেপো নিয়ে নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে পুনর্নবায়ন হয়ে যাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র তহব ল র ম য় দ ব শ ষ তহব ল র ২০২৬ স ল র এ তহব ল র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা

জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।

হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—

১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

আবেদনে যোগ্যতার শর্ত

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—

—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।

—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।

—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা

—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।

—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।

—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।

বৃত্তির সুবিধা

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:

১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।

২। মাসিক ভাতা।

—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।

—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।

—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।

—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।

—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।

—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।

—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নর্ডিক স্কলারশিপে সম্পূর্ণ অর্থায়নে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির সুযোগ
  • সেন্ট যোসেফের উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি, নিয়ম প্রকাশ
  • জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা