ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের প্রভাব পড়েনি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে
Published: 11th, April 2025 GMT
ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশের সাথে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি সুবিধা ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কোন প্রভাব পড়েনি দেশের একমাত্র চতুর্দশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায়। আগের মতই এই শুল্ক স্টেশন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানি রপ্তানি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্য জানান বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।
এইদিন নেপাল ও ভুটান থেকে অন্যদিনের মতই এসেছে বোল্ডার পাথর, সুগার মোলাসিস, অর্গানিক রংসহ অন্যান্য পণ্য। ৪৩টি ট্রাকে এক হাজার ২৪০ টন পণ্য আমদানি হয়। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পাটের কাঁচামাল, আলু, টিস্যু পেপারসহ অন্যান্য পণ্যের ২২টি ট্রাকে ৪৮৩ টন পণ্য নেপালে রপ্তানি হয়েছে।
স্থলবন্দর কতৃপক্ষ জানায়, পাথর আমদানি নির্ভর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বর্তমানে অন্য পণ্যের সাথে নেপালে নিয়মিত আলু রপ্তানি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ১৪৭ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হয়। গত দুই মাসে থিংকস টু সাপ্লাই, হুসেন এন্টার প্রাইজ, স্বাধীন এন্টার প্রাইজ ও ক্রসেস এগ্রো নামে চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এই স্থলবন্দর দিয়ে কয়েক দফায় তিন হাজার ৪০২ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি করে।
স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের সঙ্গনিরোধ পরিদর্শক উজ্জল হোসেন বলেন, “রপ্তানিকারক চারটি প্রতিষ্ঠান রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আলুগুলো সংগ্রহ করে নেপালে পাঠায়। সর্বশেষ এইদিনও বাংলাদেশ থেকে নেপালে আলু রপ্তানি হয়েছে।”
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমাদের স্থলবন্দরে এখন পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি কোন নির্দেশনা আসেনি। এদিনও আমাদের এই বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পণ্য ভারত ও নেপালের সাথে আমদানি রপ্তানি হয়েছে।”
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিলো। এদিন বিকেল পর্যন্ত ৪৯টি ট্রাক আমদানি হয়েছে এবং ২৪টি পণ্যবাহী ট্রাক রপ্তানি হয়েছে। এরমধ্যে দুই ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে এবং ২২টি ট্রাকে রপ্তানিযোগ্য বিভিন্ন পণ্য নেপালে রপ্তানি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের যে নীতিমালা আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমাদের এই বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এর প্রভাব পড়েনি৷ এখানে আমদানি ও রপ্তানি স্বাভাবিকভাবে রয়েছে।
ঢাকা/নাঈম/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আখাউড়া দিয়ে ভারত থেকে এলো সাড়ে ১২ টন জিরা
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে জিরা আমদানি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২ টন জিরা বন্দরে খালাস করা হয়। এর আগে সোমবার ১২ টন জিরা নিয়ে একটি ট্রাক বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
জানা গেছে, সারা এগ্রো এনিমাল হেলথ এবং সততা ট্রেডিং নামে দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই জিরা আমদানি করেছে। কাস্টমস ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আখাউড়া স্থলবন্দরের মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
আখাউড়া কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতি কেজি জিরা প্রায় ৩ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৭ টাকায় আমদানি করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে মোট ৩৬.৫ টন জিরা আমদানি হয়েছে, যার মাধ্যমে ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, চলতি বছরে এর আগেও কয়েকবার এই বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে। ঈদুল আজহা সামনে রেখে আরও আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে।