রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত রাখার সুযোগ পাচ্ছে তালেবান
Published: 24th, April 2025 GMT
আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষকে মস্কোতে একজন রাষ্ট্রদূত রাখার অনুমতি দেবে রাশিয়া। বুধবার রাশিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে তালেবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা তুলে নিয়েছিল রাশিয়া। এরপরেই এই রাষ্ট্রদূত নিয়োগের বিষয়টি জানালো মস্কো।
২০২১ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর ইসলামপন্তি তালেবান প্রশাসন ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে মস্কো তাদের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তালেবান কর্মকর্তারা রাশিয়ায় বড় ধরনের কয়েকটি আয়োজনে অংশ নিয়েছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,রাশিয়ার কর্মকর্তারা আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে আলোচনা করেছেন।
এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, “আফগান নেতৃত্বের প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে যে, রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট তালেবান আন্দোলনের উপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত ঘোষণার পর, রুশ পক্ষ মস্কোতে আফগানিস্তানের কূটনৈতিক মিশনকে রাষ্ট্রদূতের স্তরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।