পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার আহ্বান
Published: 1st, May 2025 GMT
“রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে, করতে হবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত। তাহলে পুলিশ জনতার পুলিশ হয়ে উঠবে।”
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহের বিশেষ আয়োজন ‘নাগরিক ভাবনায় জনতার পুলিশ: নিরাপত্তা ও আস্থার বন্ধন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী হিসেবে পুলিশ বানানো হয়েছিল। এ কারণে পুলিশ কখনো জনতার পুলিশ হতে পারেনি। রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশের অপব্যবহার হয়েছে। ব্যবহার হয়েছে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ও বিরোধী মত দমনে। এসব কারণে জনগণ পুলিশের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। পুলিশকে জনতার পুলিশে পরিণত করতে হলে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে সাবেক পুলিশপ্রধানরা বলেন, পুলিশকে স্বাধীনতা দেওয়া হলেও ব্যক্তি স্বার্থে দালালি করেছে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে জনতার পুলিশ হওয়ার লড়াই পুলিশকেই চালিয়ে যেতে হবে।
শক্তি নয়, নৈতিকতা বড় অস্ত্র—এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন— নিউ এইজের সম্পাদক নুরুল হুদা, এপেক্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির মঞ্জুর, কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সায়মা চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের সদস্য ডা.
ঢাকা/এমআর/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জনত র প ল শ
এছাড়াও পড়ুন:
ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড
প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।
৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫