ঢাবি উপাচার্যকে ‘ফাদার অব মবোক্রেসি’ বললেন ছাত্রদল সভাপতি
Published: 26th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানকে ‘ফাদার অব মবোক্রেসি’ আখ্যা দিয়েছে শাখা ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস।
তিনি বলেছেন, “এখনো বহাল তবিয়তে ফাদার অফ মবোক্রেসি নিয়াজ আহমেদ খান হেঁটে বেড়াচ্ছেন এবং মবস্টার সাইফুদ্দিন আহমেদ। আজ নাকি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন; হাস্যোজ্জল দাঁতে খিলখিল হাসি তার।”
সোমবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচার, উপাচার্য-প্রক্টরের পদত্যাগ এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুর ১২টা থেকে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্যের হাতে সাম্য হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন
অভয়নগরে আগুনে পোড়া বাড়িগুলো পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
গণেশ বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কোনো হেনতেন সংগঠন নয়। ছাত্রদল বিশ্বের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন। এ সংগঠন সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে অবস্থান নেয়। এই সংগঠন গণতান্ত্রিক ও অনেকটা সহিষ্ণু পন্থায় কর্মসূচি দিয়ে আসছে। আর অনেকে দাঁত খিলখিলিয়ে হাসছে, যেন ছাত্রদলের করার বোধহয় কিছুই নেই।”
উপাচার্য-প্রক্টর দায়িত্ব পাওয়ার পর এই ক্যাম্পাসে মব উস্কে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ঢাবি ছাত্রদল সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, “ছাত্রদলের গাজীরা জানে কীভাবে তার ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতে হয়। আমরা ন্যায় বিচার চাচ্ছি। আপনারা আমার ভাইদের নিরাপত্তা দিতে পারেননি। আপনারা জাতির সামনে এখনো কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেননি। আমি অবিলম্বে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি।”
তিনি বলেন, “সাম্য হত্যার পরে একটি গোষ্ঠী ন্যারেটিভ দাঁড় করালো, রাতে সাম্য উদ্যানে কী করে। তারা ন্যারেটিভ দাঁড় করালো, উদ্যান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে না; এ উপাচার্য এই দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ছ ত রদল উপ চ র য ছ ত রদল স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৪ পুলিশ ও আনসার সদস্য কারাগারে
বগুড়ায় ৮৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিন পুলিশ ও এক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বগুড়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত নায়েক আব্দুল আলীম (৩৩), জয়পুরহাট সদর ট্রাফিকে কর্মরত কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন (৩৭), রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) আব্দুল ওয়াহাব (৪০) এবং শফিপুর আনসার একাডেমির ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান (৪২)।
গ্রেপ্তার আবু সুফিয়ান গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন ও আব্দুল ওয়াহাব ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে বিকাশে টাকা নেন। পরে কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেনের বিকাশ নম্বর চেক করে ২৭ হাজার টাকার লেনদেন দেখা যায়।
তারা আরও জানান, বগুড়ায় কর্মরত পুলিশের নায়েক আব্দুল আলীম তাদের কাছ থেকে কিছুক্ষণ আগে ১৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট কিনে নিয়ে গেছেন। পরে তাকে শহরের নবাববাড়ী সড়কের পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে আটক করা হয়। তার হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
আটক চারজনের মধ্যে নায়েক আব্দুল আলীমকে তাৎক্ষণিক বগুড়া পুলিশ লাইনস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং অপর তিনজনকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরে মাটিডালি এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে গোয়েন্দা পুলিশ নায়েক আব্দুল আলীমকে আটক করে। পরে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে চারজনের নামে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন, আব্দুল ওয়াহাব ও আনসার সদস্য আবু সুফিয়ানের বাড়ি বগুড়া জেলার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলায়। নায়েক আব্দুল আলীমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায়।
আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান বিগত সরকারের আমলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বাসভবনে ডিউটি করতেন, কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন বঙ্গভবনে ডিউটি করতেন। অপর দুজন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
তারা একে অপরের সঙ্গে পূর্বপরিচিত এবং ঢাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর চারজন চার জেলায় বদলি হলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল এবং তারা মাদক কারবার করতেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, তাদের অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না। তাদের গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।