আল হিলালের ক্লাব বিশ্বকাপ ভাবনায় রোনালদো
Published: 29th, May 2025 GMT
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন ‘আল নাসর অধ্যায় শেষ’। তবে ফুটবল যাত্রার শেষটা এখনই নয় সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন। ১৫ জুন শুরু হওয়া ক্লাব বিশ্বকাপ ঘিরে তাই ফুটবলের দলবদলের বাজারে আলোচিত নাম সিআরসেভেন।
সংবাদ মাধ্যম ফুটমার্কেতো জানিয়েছে, রোনালদোর পরবর্তী ক্লাব হতে পারে আল নাসরের লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবের আল হিলাল। দলটি ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেবে এবং নেইমারের জায়গায় একজন তারকা খুঁজছে। হাতের নাগালে পাওয়া রোনালদো হতে পারেন সেই তারকা।
এর আগে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিওন্নি ইনফান্তিতো জানিয়েছেন, নতুন ফরম্যাটের এই ক্লাব বিশ্বকাপে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর থাকা উচিত। টুর্নামেন্ট শুরুর অল্প কিছুদিন বাকি থাকলেও ফিফা প্রেসিডেন্ট জানান, আসরে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলো একটা অপশন নিশ্চয় খুঁজে বের করবে। সুযোগ পেলে রোনালদোও ফিফার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নাও হারাতে পারেন।
তারওপর আল হিলাল গ্রুপ পর্বে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে। আল হিলালে যোগ দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি সাবেক ক্লাবের মুখোমুখি হলে ওই ম্যাচের আকর্ষণও বাড়বে বহুগুন। লিওনেল মেসির সঙ্গে একই আসরে খেলার গুরুত্বও আছে।
এছাড়া রোনালদোকে মরক্কোর ক্লাব কাসাব্লাঙ্কা দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও খবর এসেছিল। ব্রাজিলের ক্লাব বোটাফোগো ও ফ্লামেঙ্গোর নামও এসেছে। এর মধ্যে ফ্লামেঙ্গোর প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করে দিয়েছেন, তারা কেবল ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য কাউকে দলে ভেড়াবেন না। সেটা রোনালদো হলেও না।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছাড়া আরও এক বড় তারকার পিছু নিয়েছে আল হিলাল। তিনি হচ্ছেন নাপোলি থেকে ধারে এক মৌসুমে গ্যালাতাসারেতে কাটানো নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ভিক্টর ওসিমহেন। এক মৌসুমে ৪০ গোল করা এই স্ট্রাইকারকে তিন মৌসুমে ১২০ মিলিয়ন ইউরো বেতনের প্রস্তাব দিয়েছে আল নাসর। সঙ্গে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ তো আছেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল ক ল ব ব শ বক প আল হ ল ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড
প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।
৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫