দেশের নদীপথে নৌ পুলিশের এক সপ্তাহের অভিযানে গ্রেপ্তার ৪০১
Published: 30th, May 2025 GMT
আইন ভঙ্গ করে মাছ ধরাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে গত সাত দিনে ৪০১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। এসব ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় ৮৮টি মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নৌ পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নৌ পুলিশ দেশব্যাপী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। গত সাত দিনে নৌ পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে মাছ ধরায় ব্যবহৃত মোট ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৩২০ মিটার অবৈধ জাল, ৫ হাজার ৪৩১ কেজি মাছ, ৮ লাখ ৫০ হাজার চিংড়ি রেণু পোনা জব্দ করা হয়েছে। এ সময় নদীর পাশ থেকে ১৭৫টি ঝোপঝাড় ধ্বংস করা হয়। নৌ পুলিশের এই অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না পাওয়ায় ১৪৬টি বাল্কহেডের বিরুদ্ধে নৌ আদালতে প্রসিকিউশন দায়ের করা হয় এবং ২৩টি ড্রেজার জব্দ করা হয়। এ ছাড়া অভিযান চলাকালে বিভিন্ন নদী থেকে আটটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত সাত দিনের এই অভিযানে আইন ভঙ্গ করে মাছ ধরাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৪০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় ৮৮টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে মৎস্য আইন ভঙ্গ করে মাছ ধরার অভিযোগে ৪৪টি, মাদক রাখার অভিযোগ দুটি, নদীতে বেপরোয়া গতিতে বাল্কহেড চলার অভিযোগে ১৬টি, লাশ উদ্ধারের পৃথক ঘটনায় সাতটি অপমৃত্যু, আরেকটি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একটি হত্যা, নদীর তীরে অবৈধ বালুমহালের বিরুদ্ধে ১২টি, নদীপথে চাঁদাবাজির অভিযোগে চারটি, নৌযানে চুরির অভিযোগে একটি এবং নদীদূষণের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া জব্দ করা অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়েছে। জব্দ করা মাছ এতিমখানায় বিতরণ এবং মাছের রেণু পোনা পানিতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।