আফগানিস্তানে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করছে পাকিস্তান
Published: 30th, May 2025 GMT
২০২১ সালে তালেবানরা কাবুল দখল করার পর পাকিস্তান প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানে একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করতে যাচ্ছে। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার ঘোষণা দিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা কিছুটা হ্রাস পেতে যাচ্ছে।
বর্তমানে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের একে অপরের দেশে শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রদূত হলেন একজন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, যা রাষ্ট্রদূতের চেয়ে নিম্ন স্তরের। পাকিস্তান এখনো জানায়নি যে কাকে এই পদে মনোনীত করা হবে।
কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্ব উন্নীত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, গত মাসে পাকিস্তানের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে কাবুল সফরের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ইতিবাচক দিকে এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেছেন, “আমি নিশ্চিত যে এই পদক্ষেপটি সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে আরো অবদান রাখবে।”
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইসলামাবাদে তালেবানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
গত সপ্তাহে পাকিস্তান সরকার এবং আফগান তালেবান প্রশাসনের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক আয়োজনকারী চীন জানিয়েছিল, দুই দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপর থেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।
ইসলামাবাদ বলেছে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালানো ইসলামপন্থী জঙ্গিরা আফগান মাটি ব্যবহার করে। কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে এই ধরনের জঙ্গিবাদ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা।
চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং উজবেকিস্তানের পরে পাকিস্তান চতুর্থ দেশ হিসেবে কাবুলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে।
যদিও ওই সরকারগুলো বলেছে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে কূটনীতিক এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন রাষ্ট্রদূতকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পরিচয়পত্র উপস্থাপন করা স্বীকৃতির দিকে একটি পদক্ষেপ।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন র ক টন ত ক র র পর
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশের খসড়াটি সচিব কমিটির মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে।
খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারপারসন হবেন। সদস্য থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ; গ্রেড-২ পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা; পুলিশ একাডেমির একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; আইন, অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন মানবাধিকারকর্মী।
আরও পড়ুনপুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন অপরিহার্য৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন।কমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন। সদস্যরা যোগদানের দিন থেকে চার বছর নিজ নিজ পদে থাকবেন। মেয়াদ শেষে কোনো সদস্য আবার নিয়োগের যোগ্য হবেন না।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে—এই কমিশন যেকোনো কর্তৃপক্ষ বা সত্তাকে কোনো নির্দেশ দিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সত্তা অনধিক তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তবে কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা হলে সে ক্ষেত্রে নির্দেশ বা সুপারিশ পাওয়ার অনধিক তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে যে নির্দেশ বা সুপারিশ পাঠাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ বা সুপারিশ কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুনকোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি৯ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এই কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। খসড়া অধ্যাদেশে প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যকে বাছাই কমিটিতে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হওয়া ও বাছাই কমিটির বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।
আরও পড়ুন‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা১৭ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ খসড়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠা, কার্যালয়, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ, কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য কারা অযোগ্য, সদস্যদের পদত্যাগ, অপসারণ, পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান-নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশপ্রধান নিয়োগ, আইন-বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা বিষয়েও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনমাঝেমধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কি আমাদের লোক’: আইজিপি১৭ ঘণ্টা আগে