Samakal:
2025-11-02@19:49:13 GMT

ফাহমিদুলে উজ্জীবিত বাংলাদেশ

Published: 1st, June 2025 GMT

ফাহমিদুলে উজ্জীবিত বাংলাদেশ

বিকেল ৫টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ফুটবল দলের অনুশীলন। ভারী বৃষ্টি কারণে অনুশীলন শুরুর আধঘণ্টা আগে ভেন্যু পরিবর্তনের কথা জানায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। জাতীয় স্টেডিয়ামের পরিবর্তে কিংস অ্যারেনায় সাড়ে ৫টায় অনুশীলন করে। ৪ জুন ভুটান এবং ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল প্রথম অনুশীলন করে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। 

শনিবারের অনুশীলনে সবার চোখ ছিল ইতালিপ্রবাসী ফাহমিদুল ইসলামের দিকে। তাঁকে পেয়ে উজ্জীবিত পুরো দল।

ইংল্যান্ডপ্রবাসী হামজা দেওয়ান চৌধুরীর আগামীকাল আসার কথা। ৪ জুন কানাডাপ্রবাসী শমিত সোম দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা। তারা আসার পর বাংলাদেশ দল আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া, ‘যেহেতু হামজা আমাদের সঙ্গে খেলেছে, শমিত সোমও আসছে, এটি আমাদের জন্য ভালো খবর। আমাদের দলের জন্য ভালো হচ্ছে। এতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে অনুপ্রেরণা ও বুস্টআপ কাজ করছে। আমি মনে করি, হামজার সঙ্গে শমিত বা যারা আসছে, সেটি আমাদের দলের জন্য ভালো এবং আশা করি, আমরা সবাই মিলে ভালো একটি ফল করব। 

রহমত আরও বলেন, ‘মিডফিল্ড নিয়ে যেটি বললেন, হামজা ভাই আছে, শমিত সোম আসবে, ফাহমিদুল আছে, যারা আগে ছিল, তারাও আছে, ইনশাআল্লাহ আমাদের মিডফিল্ড শক্তিশালী হবেই। সব মিলিয়ে আমরা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভালো কিছু করব। এমন কমপ্যাক্ট মিডফিল্ড থাকলে অবশ্যই ভালো, তারা তাদের কাজটা করতে পারলে আমাদের রক্ষণের কাজটা সহজ হয়ে যায়।’

ফাহমিদুলকে নিয়েও উচ্ছসিত রহমত, ‘ফাহামিদুলের সঙ্গে ভালো সময় কাটছে আমাদের। সে আমাদের মতোই মিশুক, খোলা মনের। সে যে প্রবাসী, সেটি আমি বলব না, সে বাংলাদেশি খেলোয়াড় সেটিই বড় কথা।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল প রব স আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ