বিকেল ৫টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ফুটবল দলের অনুশীলন। ভারী বৃষ্টি কারণে অনুশীলন শুরুর আধঘণ্টা আগে ভেন্যু পরিবর্তনের কথা জানায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। জাতীয় স্টেডিয়ামের পরিবর্তে কিংস অ্যারেনায় সাড়ে ৫টায় অনুশীলন করে। ৪ জুন ভুটান এবং ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল প্রথম অনুশীলন করে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল।
শনিবারের অনুশীলনে সবার চোখ ছিল ইতালিপ্রবাসী ফাহমিদুল ইসলামের দিকে। তাঁকে পেয়ে উজ্জীবিত পুরো দল।
ইংল্যান্ডপ্রবাসী হামজা দেওয়ান চৌধুরীর আগামীকাল আসার কথা। ৪ জুন কানাডাপ্রবাসী শমিত সোম দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা। তারা আসার পর বাংলাদেশ দল আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া, ‘যেহেতু হামজা আমাদের সঙ্গে খেলেছে, শমিত সোমও আসছে, এটি আমাদের জন্য ভালো খবর। আমাদের দলের জন্য ভালো হচ্ছে। এতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে অনুপ্রেরণা ও বুস্টআপ কাজ করছে। আমি মনে করি, হামজার সঙ্গে শমিত বা যারা আসছে, সেটি আমাদের দলের জন্য ভালো এবং আশা করি, আমরা সবাই মিলে ভালো একটি ফল করব।
রহমত আরও বলেন, ‘মিডফিল্ড নিয়ে যেটি বললেন, হামজা ভাই আছে, শমিত সোম আসবে, ফাহমিদুল আছে, যারা আগে ছিল, তারাও আছে, ইনশাআল্লাহ আমাদের মিডফিল্ড শক্তিশালী হবেই। সব মিলিয়ে আমরা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভালো কিছু করব। এমন কমপ্যাক্ট মিডফিল্ড থাকলে অবশ্যই ভালো, তারা তাদের কাজটা করতে পারলে আমাদের রক্ষণের কাজটা সহজ হয়ে যায়।’
ফাহমিদুলকে নিয়েও উচ্ছসিত রহমত, ‘ফাহামিদুলের সঙ্গে ভালো সময় কাটছে আমাদের। সে আমাদের মতোই মিশুক, খোলা মনের। সে যে প্রবাসী, সেটি আমি বলব না, সে বাংলাদেশি খেলোয়াড় সেটিই বড় কথা।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল প রব স আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড
প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।
৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫