ঈদে বাংলাদেশ টেলিভিশন [বিটিভি], বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি ইউটিউবে নাটক দেখেন দর্শক। ঈদের সবচেয়ে আলোচিত নাটক ছিল ‘আশিকি’। সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে এটি ৮ জুন রাতে প্রকাশ পেয়েছে। যা এরই মধ্যে উঠে এসেছে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের এক নম্বরে। ইতোমধ্যে নাটকটি মুক্তি তিন দিনের মাথায় অতিক্রম করেছে ৫০ লাখ ভিউ-এর ঘর। ১৩  হাজারের বেশি মন্তব্য যুক্ত হয়েছে ইউটিউব লিঙ্কের নিচে। 

এ নাটকে জোভানকে দেখা যাচ্ছে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে আশিক চরিত্রে। তাঁর বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য শহরে এসে একটি কলেজে ভর্তি হয়। ভালো গান করে, স্বপ্ন দেখে বড় গায়ক হওয়ার। একই কলেজের শিক্ষার্থী ধনীর দুলালী জেস। কলেজে যার প্রভাবের অন্ত নেই। এই জেস চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাজনীন নাহার নিহা। নাটকের গল্পে রয়েছে জটিল সব বাঁক। রয়েছে আনন্দ আর বিষাদের অসাধারণ মেলবন্ধন। রয়েছে দুটি গানও। সব মিলিয়ে এবারের ঈদে ‘আশিকি’ যেন মেলো-ড্রামাটিক এক সিনেমার স্বাদ নিয়ে হাজির হয়েছে ইউটিউব পর্দায়। ‘আশিকি’ প্রসঙ্গে এর নির্মাতা জানান, নাটকটির মধ্য দিয়ে অনেকগুলো বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। একজন শিল্পীর স্ট্রাগল এবং সেটি জয়ের গল্প যেমন আছে, তেমনি একজন ধনীর দুলালীর অসাধারণ এক প্রেমের বয়ানও রয়েছে।

প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, ‘‘আশিকি’ নাটকটি প্রকাশের পর থেকে দর্শক-সমালোচকদের পক্ষ থেকে যে সাড়া ও প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি, সেটি সচরাচর মেলে না। দর্শকরা নাটকটি দেখার পর যে মন্তব্যগুলো করছেন, সেসব পড়লে এমন ভালো কাজ আরও করার আগ্রহ জন্মায়। ধন্যবাদ জানাই পুরো ‘আশিকি’ টিমের প্রতি। কারণ, নাটকটির এই সফলতার পেছনে মূল কারিগর তারাই।’’ ‘আশিকি’ নির্মাণ করেছেন ইমরোজ শাওন। পারভেজ ইমামের চিত্রনাট্যে নাটকটির সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন খায়ের খন্দকার।  

সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে ঈদে প্রকাশ হওয়া মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ক্ষতিপূরণ’ নাটকটিও দর্শক প্রশংসা পেয়েছে। এর মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন তারকা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর ছোট বোন মালাইকা চৌধুরী। এবার তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান। নাটকটি ১৪ ঘণ্টায়  দশ লাখেরও বেশি দর্শক দেখেছেন।

নাটকটিতে সন্তানের প্রতি মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। সন্তানের জন্য একজন মায়ের ভালোবাসা সব পরিমাপের ঊর্ধ্বে। কোনো কিছু দিয়েই এই ঋণের শোধ হয় না। কেননা, পৃথিবীর সবচেয়ে অমূল্য এই উপহারের যোগ্য কোনো প্রতিদান নেই। এটিও দেখানো হয়েছে নাটকে। এমনি আবেগঘন গল্পকে আরও গভীরতা এনে দিয়েছে আরেফিন রুমির একটি গান। গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন রুমি নিজেই। গানটির গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন। নাটকটির অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন নাদের চৌধুরী, মনিরা আক্তার মিঠু, রাশেদ মামুন অপু, সুষমা সরকার প্রমূখ।

এ ছাড়াও ঈদে ইউটিউবে প্রকাশ হওয়া সকাল আহমেদের ‘চিফ গেস্ট’, তোমার জন্য ভালোবাসা’, মাসরিকুল  আলমের ‘ঘ্রান’, মিতুল খানের ‘কোটিপতি চেয়ারম্যান’, কে এম সোহাগ রানার ‘চাঁদের হাট-২’, জাকারিয়া সৌখিনের ‘প্রিয় প্রজাপতি’, সাজিন আহমেদ বাবুর ‘অশিক্ষিত এমডি’-সহ আরও কয়েকটি নাটকও আছে আলোচনায়।  
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন টকট র প রক শ কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।

নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।

সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প

নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪

নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন। 

অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।

মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”

মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। 

মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”

নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
  • স্কিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত ত্বক থাকলে ৪০ শতাংশের বেশি দগ্ধ রোগীকেও বাঁচানো যায়
  • রাগ নিয়ন্ত্রণে হাদিসের ৭ উপদেশ
  • চুলে গুঁজে দিলেন ৭১১ গলফ ‘টি’
  • বাবা হারালেন চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত
  • ‘নতুন একটি দলের কয়েকজন মহারথী’ বলার পর বক্তব্য বদলালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
  • ভাসানীরা না থাকলে শেখ মুজিব কখনো তৈরি হতেন না: নাহিদ
  • কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দিয়ে দুমড়েমুচড়ে গেল যাত্রীবাহী বাস
  • নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো