ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’ বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।

সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

কাৎজের বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, ইরানের প্রচারণা ও উসকানির মেগাফোন ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’।

ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের রাজধানী তেহরানে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের সদরদপ্তর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরপরই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওই হুমকি দিলেন।

এর আগে চলমান সংঘাতের মধ্যেই আগের দেওয়া হুমকিসংক্রান্ত বক্তব্য থেকে সরে এসে সুর পাল্টে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, তেহরানের মানুষের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছা নেই।

এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েল কাৎজ বলেন, ‘আমি সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই, আমরা তেহরানের বাসিন্দাদের শারীরিকভাবে ক্ষতি করতে চাই না; যেমন ওই খুনি স্বৈরশাসক (ইরান সরকার) ইসরায়েলের নাগরিকদের ক্ষতি করে।’

যদিও কাৎজ এর আগে বলেছিলেন, ‘তেহরানের জনগণকে স্বৈরাচারের মূল্য দিতে হবে এবং রাজধানীর যেসব এলাকায় সরকার ও নিরাপত্তা অবকাঠামো রয়েছে, সেসব এলাকা থেকে সরে যেতে হবে।’

হুঁশিয়ারি দিয়ে কাৎজ বলেছিলেন, ইরানের প্রাণঘাতী পাল্টা হামলার জবাবে তেহরানের মানুষকে ‘মূল্য দিতে হবে—আর তা খুব শিগগিরই।’

গত চারদিনের হামলায় ইরানের ১২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত শুক্রবার ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এসব লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে; যা ইরানের মোট ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা এফি ডেফরিন বলেন, কেবল রোববার রাতেই ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ইরানের ২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করেছে। ধ্বংস করা না হলে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য কয়েক মিনিটের মধ্যেই এসব লঞ্চার ব্যবহার করা হতো।

তিনি বলেন, ইসরায়েল প্রায় ৫০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইরানের মধ্যাঞ্চলের ইসফাহান শহরের অন্তত ১০০টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা চালিয়েছে। এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ কারখানা, লঞ্চার এবং কমান্ড সেন্টার রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল র ধ ব স কর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর

অমর একুশে বইমেলা, ২০২৬ চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে। চলবে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে বাংলা একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে বইমেলার তারিখ নির্ধারণ-সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে...

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ