বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় তরকারী ব্যবসায়ী মো. শাহাবুল ইসলাম শাওন হত্যা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.

তাজুল ইসলাম সোহাগের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. খাজা গোলাম কিবরিয়া তাদেরকে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে সালমান এফ রহমানের চার দিনের রিমান্ড এবং আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এ সময় আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এসব আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক খায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মো. শাহাবুল ইসলাম শাওন ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় ভ্যানগাড়িতে করে তরকারী বিক্রি করতেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট তিনি তাতে অংশ নেন। আন্দোলন চলাকালে আশুলিয়া বাইপাইল মোডে আরএমএসটি বিল্ডিংয়ের পাশে গেলে আসামিদের ছোড়া গুলিতে শাওনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাওনের বড় ভাই মো. তৌহিদুল মিয়া আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। 

গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৪ আগস্ট লালবাগ ও নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় তাদের আরও ১০ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। এরপর তারা ঢাকার বিভিন্ন থানায় কয়েকদফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রয়েছেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।

লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা