ফের রিমান্ডে সালমান এফ রহমান, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল হক
Published: 19th, June 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় তরকারী ব্যবসায়ী মো. শাহাবুল ইসলাম শাওন হত্যা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মো. শাহাবুল ইসলাম শাওন ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় ভ্যানগাড়িতে করে তরকারী বিক্রি করতেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট তিনি তাতে অংশ নেন। আন্দোলন চলাকালে আশুলিয়া বাইপাইল মোডে আরএমএসটি বিল্ডিংয়ের পাশে গেলে আসামিদের ছোড়া গুলিতে শাওনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাওনের বড় ভাই মো. তৌহিদুল মিয়া আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৪ আগস্ট লালবাগ ও নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় তাদের আরও ১০ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। এরপর তারা ঢাকার বিভিন্ন থানায় কয়েকদফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রয়েছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ কবরস্থান পাড়ায় বাসা থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত আবুক কাশেমের স্ত্রী।
আজ সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে গুলশান আরা চমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগনো ছিল। চমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর বাসা ভাড়া নিয়ে চমন একাই বসবাস করছিলেন। তিন মাস আগে তিনি স্ট্রোক করলে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে পরামর্শ দেওয়া, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে। যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে যায়। কিন্তু উনি দরজা দিয়ে ঘুমাতেন।’’
বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তিনি পুলিশে খবর দেন।
গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়ি রেখে যাই। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’’
ঢাকা/মামুন/বকুল