রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হয়ে এসে রদ্রিগো গোয়েসের প্রশংসা করেছিলেন জাবি আলোনসো। রদ্রিগো তার পরিকল্পনায় আছেন এবং তাকে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলার মনে করেন বলেও উল্লেখ করেছিলেন। জাবির অধীনে ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়ালের প্রথম ম্যাচের শুরুর একাদশেও ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। ম্যাচের একমাত্র গোলও করান তিনি। 

কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই রিয়ালের শুরুর একাদশে জায়গা হারান রদ্রিগো। ব্রাজিলিয়ান তরুণ বুঝেও গেছেন রিয়ালে যে সম্মান, যে পজিশন, যতটা সময় তিনি খেলতে চান আলোনসোর অধীনে তা মিলবে না। তিনি তাই নতুন এবং সেরা ঠিকানার খোঁজে নেমেছেন। সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, রিয়াল মাদ্রিদও ৯০ মিলিয়ন ইউরো পেলে ছেড়ে দেবে এই ব্রাজিলিয়ানকে। 

আর্সেনাল: ছয় মৌসুম রিয়াল মাদ্রিদে খেলা রদ্রিগোকে দলে পেতে আগ্রহী ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কিছু ক্লাব। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে আর্সেনাল। মিকেল আর্তেতার অধীনে গানাররা ভালো ফুটবল খেলছে। কিন্তু সাফল্যের মাপকাঠি শিরোপা ঘরে তুলতে পারছে না। মিকেল আর্তেতা মনে করেন, তার সিস্টেমে রদ্রিগো খুবই কার্যকরী একজন ফুটবলার হবেন। 

আর্সেনাল অবশ্য নিকো উইলিয়ামসের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছিল। তিনি বার্সায় যোগ দেওয়ায় রদ্রিগোয় পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারে গানাররা। এছাড়া আর্সেনাল লেফট ব্যাকে খেলা গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লিকে ছেড়ে দিতে চায়। রদ্রিগোও মূলত রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে যাচ্ছেন লেফট উইঙ্গে খেলার সুযোগ না পেয়ে। যেটা আর্সেনালে মিলবে তো বটেই। দলটির মূল খেলোয়াড়ও হবেন তিনি।  

বায়ার্ন মিউনিখ: গ্রীষ্মে একজন লেফট উইঙ্গার কিনবে বায়ার্ন মিউনিখ। এরই মধ্যে তারা মার্টিনেল্লির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছে বলে খবর। নিকো উইলিয়ামসেও আগ্রহী ছিল। বায়ার্ন এখন পর্যন্ত রদ্রিগোকে পাওয়ার চেষ্টা না করার কারণ তার দাম। তবে বায়ার্ন যেহেতু ফ্লোরিয়ান উইর্টজে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচে রাজি ছিল সেটা রদ্রিগোয় বিনিয়োগ করতে পারে দলটি। বায়ার্ন মিউনিখও লেফট উইঙ্গার সংকটে ভুগছে। জামাল মুসিয়াল ও মাইকেল ওলিসের সঙ্গে সমন্বয় করে খেলতে পারা ফরোয়ার্ড দরকার তাদের। 

চেলসি: গত মৌসুম সেরা চারে শেষ করে চেলসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে। তবে সত্য হলো, দলটির সাফল্যের পেছনে মিডফিল্ডাররাই ভূমিকা রেখেছেন। ক্লাবটির ফরোয়ার্ড লাইনে প্রতিভাবান ও দক্ষ ফুটবলারের অভাব আছে। রদ্রিগোর মতো একজন হতে পারে চেলসির জন্য স্বপ্নের চুক্তি। অবশ্য ক্লাবটির অস্থিরতা, বারবার মালিকানা ও কোচ বদল হওয়া প্রজেক্ট থেকে ডাক আসলেও রদ্রিগো সাড়া দেবেন কিনা বলা কঠিন। 

লিভারপুল ও ম্যানসিটি: গত মৌসুমে রদ্রিগোর প্রতি আগ্রহী ছিল লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ রদ্রিগোর পিঠে ‘বিক্রির জন্য নহে’ ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়ায় তারা অন্যত্র বিনোয়োগ করে ফেলেছে। লিভারপুল যেমন উইর্টজে মোটা অঙ্কের অর্থ ঢেলেছে। ম্যানসিটির লেফট উইঙ্গে ডকু আছেন, সাভিনহোও ওই পজিশনে খেলতে পারেন। আবার ওমর মারমাউশও মূলত লেফট উইঙ্গার। এই দুই ক্লাবের আপাতত রদ্রিগোকে কেনার সুযোগ কম। তবে পেপ গার্দিওলা সহজে রদ্রিগোর মতো ফুটবলার কেনার সুযোগ হাতছাড়া নাও করতে পারেন। 

ম্যানইউ: রুবেন আমোরিম নতুন প্রজেক্ট দাঁড় করাতে চান। যে প্রজেক্টে এরই মধ্যে ম্যাথিউস কুনিয়া যোগ দিয়েছেন। রদ্রিগো হতে পারে তার স্বপ্নের সাইন। যদিও ম্যানইউ এক যুগ ধরেই অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বছর বছর ফুটবলার কিনে ছেড়ে দেওয়া, কোচ পরিবর্তন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা না পাওয়া এসব কারণে ওই প্রজেক্টে খুব একটা সাড়া রদ্রিগোর দেওয়ার কথা নয়।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল আর স ন ল ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

‘আল্লাহু আকবার’ বলে হলের ছাদ থেকে লাফ দিলেন রাবি শিক্ষার্থী

‘আল্লাহু আকবার’ বলে হলের ছাদ থেকে লাফ দিয়েছেন সাদ আহমেদ নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ১১টা ২০ মিনিটে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের চার তলার উপর থেকে লাফ দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

সাদ আহমেদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার আগে ফেসবুকে তিনি কয়েকটি পোস্ট করেন। সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ভালোবাসি লিসা'।

লিসাকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, “লিসা তুমি জানতা তোমাকে আমি কত্তটা ভালোবাসি, তবুও কেন এমন করলে? সব জায়গায় সেইম ইফোর্ট সেইম ডায়ালগ কীভাবে পারো লিসা? মানুষ এতটা সাইকো কীভাবে হয়? তোমাকে তো বলেই ছিলাম, আমার সাথে চিট করলে কিন্তু আমার বন্ধু ফিরোজের মতো আমাকেও মরা ছাড়া উপায় থাকবে না। এত্ত করে বুঝাইলাম তাও বুঝলে না।”

আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, “সরি আম্মু পারলে মাফ করে দিও। তুমি আমার আম্মু ছিলা, তুমি আমার আব্বু ছিলা। আর আমার বাপ একটা জানোয়ার।” 

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমি মাত্রই ছাদে উঠেছিলাম, তিন তলায় ওঠার পরে একজন জোরে 'আল্লাহু আকবার' বলে এবং পরক্ষণেই হঠাৎ জোরে শব্দ শুনতে পাই। তারপর ওখান থেকে দৌঁড়ে এসে দেখি একজন মাটিতে পড়ে আছে। পরে অ্যাম্বুলেন্স এসে তাকে রামেকে নিয়ে যায়।

তার এক বন্ধু বলেন, সাদ খুব সহজ সরল। সে হাফেজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। পারিবারিক কিছু সমস্যাও ছিলো। তবে এভাবে সে লাফ দেবে এটা ভাবতেই পারিনি।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমি বাইরে ছিলাম। ঘটনাটি শোনার পর হলে গিয়ে শুনতে পেলাম তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সে ফার্স্ট ব্লকের চার তলা থেকে লাফ দিয়েছিল। সম্ভবত তার একটা পা ভেঙ্গে গেছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমরা ঘটনাটি শোনামাত্রই সেখানে অ্যাম্বুলেন্স পাঠাইছি। তাকে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি।”

ঢাকা/ফাহিম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েল-ভারত যেভাবে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতে চেয়েছিল
  • কেবল ব্যক্তির বদল নয়, পুলিশের সংস্কারও প্রয়োজন: সামান্তা শারমিন
  • জোহরান মামদানির উত্থান: ফিলিস্তিনপন্থি রাজনীতির সুযোগ বাড়ার আভাস
  • অভিনয় নাকি নির্মাণ, কোন পথে হাঁটছেন পলাশ
  • নেতানিয়াহু ‘একজন যোদ্ধা’, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত: ট্রাম্প
  • ‘তোমাকে কতটা ভালোবাসি’ লিখে হলের ছাদ থেকে ছাত্রের লাফ
  • নেতানিয়াহুর মতো ‘মহান নায়ককে’ ক্ষমা করে দেওয়া উচিত: ট্রাম্প
  • ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হলের ছাদ থেকে লাফ দিলেন রাবি শিক্ষার্থী