Samakal:
2025-06-26@12:45:27 GMT

গা ছমছমে ভৌতিক থ্রিলার

Published: 26th, June 2025 GMT

গা ছমছমে ভৌতিক থ্রিলার

বলিউড অভিনেত্রী কাজল একেবারে নতুন রূপে ফিরছেন রুপালি পর্দায়। প্রথমবারের মতো হরর ঘরানার ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। নাম ‘মা’। পৌরাণিক মিথ, সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ও ভৌতিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি এই সিনেমার ট্রেলার গায়ে কাঁটা ধরিয়ে দিয়েছে দর্শকদের। ছবির মূল গল্প আবর্তিত হয়েছে চন্দ্রপুর নামে এক কাল্পনিক গ্রামে। যুগ যুগ ধরে একটি বিশ্বাস প্রচলিত–শিশুকন্যাদের রক্তে এক অশুভ শয়তান শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সেই গ্রামে মেয়েকে নিয়ে কাজলের আগমন এবং তারপর ঘটে যায় এক ভয়াবহ ঘটনা। হঠাৎ উধাও হয়ে যায় তাঁর কন্যা। কাজল জানতে পারেন, বিগত কয়েক মাস ধরে ওই গ্রামে একের পর এক কন্যাসন্তান নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। তাঁর মেয়েও সেই অশুভ শক্তিরই শিকার। মা হিসেবে মেয়েকে রক্ষার জন্য কাজল প্রস্তুত হন ভয়ংকর এক যুদ্ধে। একজন সাধারণ মা থেকে রূপান্তরিত হন এক নির্ভীক, রুদ্ররূপী মাতৃশক্তিতে। ট্রেলারে ফুটে উঠেছে ভয়ের আবহ, অ্যাকশন, আবেগ ও পৌরাণিক নানা বিষয়। ট্রেলারের শুরুতে দেখা যায়, রাতে কুয়াশায় মোড়ানো রাস্তায় মেয়েকে নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন কাজল। হঠাৎ এক মৃতদেহের সঙ্গে সংঘর্ষ, তারপরই তারা পৌঁছান এক পুরোনো প্রাসাদে, যেখানে মেয়েটিকে বারবার সাবধান করা হয় বাইরে না যাওয়ার জন্য।

সে এক অচেনা মেয়ের সঙ্গে চলে যায় পরিত্যক্ত এলাকায়; যা এক রাক্ষসের অভিশাপে ধ্বংসপ্রাপ্ত। এরপরই এক অন্ধকার শক্তি কাজলের মেয়েকে গভীর জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যায়। শুরু হয় মায়ের লড়াই। সিনেমার পোস্টারে কাজলকে দেখা গেছে দুই বিপরীত শক্তির মাঝখানে– একদিকে পিশাচসদৃশ দানব, অন্যদিকে মাতৃত্বের ভয়ানক রূপে দাঁড়িয়ে থাকা কাজল। মুখে রাগ, চোখে আগুন, শরীরে শক্তির ঝলক। সিনেমার ট্যাগলাইনই সব বলে দেয়– ‘রক্ষক, ভক্ষক এবং মা’। এক সাক্ষাৎকারে কাজল জানান, ‘এটি একটি মানসিক যুদ্ধের গল্প। যেখানে একজন মা নিজের সন্তানের জন্য নিজের সব সীমা ছাড়িয়ে যায়। শুটিংয়ের সময় সত্যিই ভয় পেয়েছি।’ ‘মা’ তাঁর ক্যারিয়ারের একটি মোড় পরিবর্তনের কাজ করবে বলেও জানান অভিনেত্রী। এরই মধ্যে প্রকাশ হওয়া ট্রেলারে টিজারের ভিজ্যুয়াল এফেক্ট, আবহসংগীত ও সিনেমাটোগ্রাফি ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই মনে করছেন ঘন কুয়াশা, পরিত্যক্ত বাড়ি, পৌরাণিক কাহিনি আর আধুনিক নারীর শক্তিময় রূপ– সব মিলিয়ে ‘মা’ হতে চলেছে এক ব্যতিক্রমী হরর সিনেমা। অজয় দেবগনের প্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন বিশাল ফুরিয়া; যিনি এর আগে ‘ছোড়ি’ এবং ‘ছোড়ি ২’-এর মতো হরর সিনেমা পরিচালনা করে খ্যাতি পেয়েছেন। কাজলের পাশাপাশি ছবিতে রয়েছেন রনিত রায়, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, যতীন গুলাটি ও খেরিন শর্মা। আগামীকাল হিন্দি, বাংলা, তামিল ও তেলেগু ভাষায় মুক্তি পাবে ছবিটি। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের ‘সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন’ জোহারান মামদানি

নিউইয়র্ক সিটির রাজনীতিতে জোহারান মামদানির উত্থান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা টানা শুরু হয়ে গেছে। এর কারণ শুধু তাঁদের বিপরীতমুখী আদর্শের জন্য নয়, বরং মামদানি নিজেই তাঁর প্রচারকে ট্রাম্পের ধারার রাজনীতির সম্পূর্ণ বিপরীত হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।

মামদানি ঘোষণা করেছেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন—একজন প্রগতিশীল মুসলিম অভিবাসী, যে সত্যিকারের বিশ্বাস থেকে লড়ে।’ এই বক্তব্যে স্পষ্ট যে, মামদানির প্রার্থিতা ট্রাম্পের রাজনীতির প্রতিক্রিয়াস্বরূপ—যা গত কয়েক বছরে জাতীয় ও নগর রাজনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

এই তুলনাটা কেবল কথার তুলনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মামদানির জনপ্রিয় হয়ে ওঠা তৃণমূল-ভিত্তিক প্রচারাভিযান প্রচলিত ধারাকে ভেঙে দিয়েছে। ট্রাম্পও এভাবে প্রচলিত ধারাকে ভেঙেছিলেন। তবে মামদানির বার্তা ও সমর্থক জোট ট্রাম্পের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

নিউইয়র্ক সিটির সবচেয়ে কনিষ্ঠ এবং প্রথম মুসলিম মেয়র হওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা জোহারান মামদানি শুধু তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের জন্যই নয়, বরং তাঁর স্বল্প আর্থিক অবস্থা এবং ব্যতিক্রমধর্মী পারিবারিক পটভূমির কারণেও জাতীয় পর্যায়ে দৃষ্টি কেড়েছেন।

জোহারান মামদানির সম্পদ

ফোর্বস এবং সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৩৩ বছর বয়সী মামদানির মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ২ লাখ থেকে ৩ লাখ ডলারের মধ্যে। তাঁর এ সম্পদ ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ অনেক মার্কিন রাজনীতিকের বিপুল সম্পদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

মামদানির প্রধান আয়ের উৎস হলো নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে পাওয়া বাৎসরিক ১ লাখ ৪২ হাজার ডলারের বেতন। এর পাশাপাশি তিনি অতীতে ‘ইয়াং কার্ডামন’ নাম নিয়ে র‌্যাপ সংগীত করতেন, সেখান থেকে বছরে প্রায় ১ হাজার ২৬৭ ডলারের রয়্যালটি পান। মামদানি উগান্ডার জিনজা শহরে চার একর জমির মালিক, যার মূল্য প্রায় দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ ডলারের মধ্যে। তবে তাঁর উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবসায়িক মালিকানা বা বিনিয়োগ নেই।

মামদানি জন্মগ্রহণ করেন উগান্ডায়। তাঁর বাবা প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ মাহমুদ মামদানি—হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। মা মীরা নায়ার, একজন খ্যাতনামা ভারতীয়-মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা। প্রায় ২৫ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর তিনি ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কুইন্স এলাকা থেকে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে নির্বাচিত হন।

নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র হওয়ার লক্ষ্যে তাঁর প্রচারাভিযান পরিচালিত হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ের অনুদানের ভিত্তিতে। এ পর্যন্ত তিনি ৭০ লাখ ডলারের বেশি সংগ্রহ করেছেন ১৬ হাজারেরও বেশি ব্যক্তিগত দাতার কাছ থেকে, যাঁদের অধিকাংশই দিয়েছেন ছোট অঙ্কের অনুদান—যা কর্মজীবী, অভিবাসী ও প্রগতিশীল জনগণের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা তুলে ধরে।

ট্রাম্পের ব্যক্তিজীবন ও বিপরীত অবস্থানে মামদানির রাজনীতি

ডোনাল্ড ট্রাম্পের রয়েছে বিপুল ব্যক্তিগত সম্পদ, আবাসন বা রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ও বহু দশকের বাণিজ্যিক অভিজ্ঞতা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে আজীবন নিউইয়র্কের বাসিন্দা ট্রাম্প তাঁর আর্থিক অবস্থান ও তারকাখ্যাতিকে ব্যবহার করেছেন রাজনৈতিক পরিচয় ও নীতিগত অগ্রাধিকারের রূপদান করতে।

যেখানে ট্রাম্পের সম্পদ আনুমানিক কয়েক বিলিয়ন ডলারের, সেখানে মামদানির আর্থিক তথ্য একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে—একজন প্রার্থী যার আর্থিক সক্ষমতা ব্যক্তিগত ব্যবসা বা উত্তরাধিকারসূত্রে অর্জিত নয়, বরং গড়ে উঠেছে জনসেবা ও সম্প্রদায়ের সহায়তার মাধ্যমে।

ট্রাম্প ও জোহরান মামদানির নীতিগত পার্থক্যও ততটাই তীক্ষ্ণ। মামদানি বাড়িভাড়া জমার হার বন্ধ রাখা, বিনা মূল্যে গণপরিবহন, সম্প্রসারিত সামাজিক আবাসন এবং ধনীদের ওপর অধিক কর আরোপ করে জনসেবা উন্নয়নের পক্ষে। এসব নীতিই ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণ শিথিল, পুলিশিং, এবং ধনীদের করছাড়-কেন্দ্রিক নীতির সরাসরি বিপরীতে অবস্থান করে।

মামদানির রাজনীতির কেন্দ্রে রয়েছে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ, অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা এবং সংহতির বার্তা; অন্যদিকে ট্রাম্পের ভাষ্য ঘুরে ফিরে এসেছে বহিষ্কার, সীমান্ত নিরাপত্তা ও প্রগতিশীল সংস্কারগুলোর বিপরীতে অবস্থানে।

মধ্যপ্রাচ্যসংক্রান্ত মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কড়া সমালোচক হিসেবেও মামদানিকে চেনা যায়—বিশেষত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে। বিপরীতে, ট্রাম্প বরাবরই কট্টরপন্থী ইসরায়েলি নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থানে থেকেছেন।

ট্রাম্প ও মামদানির রাজনৈতিক লড়াই শুধু নীতিমালার প্রশ্নেই সীমাবদ্ধ নেই। প্রচারের সময় নিউইয়র্কে ট্রাম্পপন্থী কয়েকজন, যার মধ্যে রয়েছেন রিপাবলিকান কাউন্সিলর ভিকি পেলাডিনো, খোলাখুলি মামদানিকে দেশচ্যুতির দাবি করেন—যা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যক্তিগত ও আদর্শগত তীব্রতাকে আরও স্পষ্ট করে। মামদানি জবাব দিয়ে বলেন, ‘মৃত্যু হুমকি। ইসলামভীতির বৈষম্য। এখন বসে থাকা একজন কাউন্সিলর যে আমার দেশচ্যুতি চান। যথেষ্ট হয়েছে। ট্রাম্প এবং তাঁর অনুগতরা এরকমই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। এটা আমাদের শহর ও সংবিধানের মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জোহরান মামদানির উত্থান: ফিলিস্তিনপন্থি রাজনীতির সুযোগ বাড়ার আভাস
  • অভিনয় নাকি নির্মাণ, কোন পথে হাঁটছেন পলাশ
  • নেতানিয়াহু ‘একজন যোদ্ধা’, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত: ট্রাম্প
  • ‘তোমাকে কতটা ভালোবাসি’ লিখে হলের ছাদ থেকে ছাত্রের লাফ
  • নেতানিয়াহুর মতো ‘মহান নায়ককে’ ক্ষমা করে দেওয়া উচিত: ট্রাম্প
  • ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হলের ছাদ থেকে লাফ দিলেন রাবি শিক্ষার্থী
  • ফেসবুকে ‘তোমাকে কতটা ভালোবাসি’ লিখে হলের ছাদ থেকে লাফ
  • হলের ছাদ থেকে রাবি শিক্ষার্থীর লাফ
  • ট্রাম্পের ‘সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন’ জোহারান মামদানি