‘আজ যারা উপহাস করে, ভবিষ্যতে তারাই ভক্ত’
Published: 3rd, July 2025 GMT
ক্যারিয়ারে বারবার হোঁচট খেয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আরশ খান। অনেকের উপহাসের পাত্রও হয়েছে। তবুও থেমে থাকেননি। নিজেকে গড়তে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সেই চেষ্টা এখনও চলমান। সম্প্রতি কিছু ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন তিনি। তবে এগুলো মাথায় না নিয়ে ছুটে চলছেন আপন গতিতে।
এসবের মাঝে আজ সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন আরশ। সেখানে উপহাসের কথা বলেছেন তিনি। উদাহরণস্বরূপ টেনেছেন শাকিব খানকে। অন্য কারও উদাহরণ না দিয়ে নিজের সঙ্গেই উদারণ দিয়ে একরকম শিক্ষার বানী শুনিয়েছেন আরশ।
তিনি লিখেছেন, ‘উপহাসে আমার এখন আর খারাপ লাগেনা, কষ্ট হয় না। কারণ, শাকিব খান নামটা শুনলে এক সময় মজা করা আমি আজ লাইনে দাঁড়িয়ে তার সিনেমার টিকিট কাটি।’
শেষে অভিনেতা লিখেছেন, ‘মনে রাখবেন, আজ যারা আপনাকে নিয়ে উপহাসের হাসি হাসে, ভবিষ্যতে তারাই আপনার ভক্ত।’
এর আগে গেল বছর মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন আরশ খন। এখানে তিনি ছিলেন শাকিব খানের বাবা আব্দুল গনি চরিত্রে (ছোটবেলার)। এই সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন আরশ খান।
প্রসঙ্গত, গেল মাসেই একটি অনুষ্ঠানে নিজের কঠিন সময়ের কথা বলতে গিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘এই চলচ্চিত্র (জগৎ) সত্যি অনেক রং দেখিয়েছে। একসময় যখন সত্যিই খুব হতাশ হয়ে যেতাম। ভাবতাম, সত্যিই হয়তো বা আমাকে দিয়ে আর কিছু হবে না। আপনাদের হয়তো কারও কারও মনে থাকতে পারে, কিছুদিন আগে আমেরিকা থেকে যখন এসেছি কিছু কারণে অনেক কাছের মানুষকেও বলতে শুনেছি, “তোমার দিন শেষ শাকিব, ইউ আর ডেড হর্স।” নিজের চেনা মুখগুলোকেই পাল্টে যেতে দেখেছি। অবাক হয়েছি, দুঃখিত হয়েছি। ভেবেছি হয়তো এখানেই শেষ। ইতি টানতে হবে। আবার ভেবেছি, যাওয়ার আগে একটা ট্রাই (চেষ্টা) তো করে যাই। এত বছর ধরে মানুষ আমাকে এত ভালোবাসল, একটা ট্রাই করে যাই। না হলে ছেড়ে দেব, ছেড়ে দেব চলচ্চিত্র। শূন্য হাতে এসেছিলাম, যা পেয়েছি তা অনেক।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আরশ খ ন উপহ স ন আরশ
এছাড়াও পড়ুন:
খুবিতে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিবেদন বিষয়ে আলোচনা সভা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনবিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের বাকস্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। গত ১৭ বছর ধরে আমরা আমাদের মনের ভাব, মতামত কিংবা আবেগ প্রকাশে বাধাগ্রস্ত ছিলাম। ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে নতুনভাবে ফিরে পেয়েছি।”
আরো পড়ুন:
গাজায় ‘গণহত্যার অর্থনীতি’ থেকে লাভবান মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ যত কোম্পানি
অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
তিনি শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন বলেন, “তরুণ প্রজন্ম জানে কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয় এবং দমন-পীড়নের মুখেও নিজেদের কথা বলতে হয়। আমাদের এই দেশের পুনর্গঠনে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো নাজমুস সাদাত বলেন, “জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি একটি মূল্যবান নথি, যা ভবিষ্যতে দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে। জুলাই আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বরং জুলাইয়ের মর্যাদা অটুট রাখতে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের প্রধান পুনম চক্রবর্তী, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার এবং ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের প্রভাষক আইরিন আজহার ঊর্মি।
জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের মানবাধিকার কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের মূল অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ইয়াছিনের ভাই মো. বাবু। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন এইচআরএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম।
এছাড়া অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার, ইংরেজি ডিসিপ্লিনের আয়মান আহাদ, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল শাফিল, ব্যবসায়ী স্নিগ্ধা সুলতানা মুন্নি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসিব/মেহেদী