কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ চলছেই
Published: 4th, July 2025 GMT
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে বৃহস্পতিবারও নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। সচেতন ছাত্র-জনতার ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে কলেজগুলোর ছাত্রদল নেতাকর্মীর উপস্থিতি অন্যদের তুলনায় বেশি দেখা গেছে। নগরীর শিববাড়ী মোড়ে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশকেও বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
নগরীর দৌলতপুর শহীদ মিনার চত্বরেও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বিএল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সাজিদ, সাধারণ সম্পাদক রিফাত ইসলাম, দৌলতপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মৃদুল ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম রিপপি ও দৌলতপুর দিবানিশা কলেজ ছাত্রদল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের এসআই সুকান্ত দাশকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর গত ২৩ জুন থেকে কেএমপি সদরদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। ২৪ জুন সকালে এসআই সুকান্তকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন কয়েকটি সংগঠন আন্দোলন থেকে ফিরে গেলেও পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যায় এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের একাংশ, যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গত ১ জুলাই রূপসা সেতু অবরোধ করে তারা। সেখান থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গত দুই দিনের কর্মসূচিতে বিএনপি সমর্থিত সংগঠনের উপস্থিতিই তুলনামূলক বেশি দেখা যাচ্ছে।
বিএল কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রিফাত ইসলাম বলেন, সচেতন ছাত্র-জনতার উদ্যোগে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতা সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ জানান, সাধারণ ছাত্র-জনতার ন্যায়সংগত দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে নারী নির্যাতন ও ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ‘দুই ভাইয়ের বিরোধ’
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ‘ধর্ষণ’ ও নির্যাতন এবং এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে প্রধান হোতা শাহ পরান এবং তার ভাই ফজর আলীর দীর্ঘদিনের বিরোধ। ফজর আলীকে বিপদে ফেলে প্রতিশোধ নিতেই শাহ পরান এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে ধরে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ছোট ভাই শাহ পরান জনতাকে উস্কে দিয়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ধর্ষককে নির্যাতন, শ্লীলতাহানি এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। বাহেরচর গ্রামের শহিদের বড় ছেলে ফজর আলী এবং ছোট ছেলে শাহ পরান দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী নারীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। প্রায় দুই মাস আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে গ্রাম্য শালিসে ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চড় মারেন। এ অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন শাহ পরান।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার
ছাত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রি, যুবক গ্রেপ্তার
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক জানান, শালিসের কিছুদিন পর ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। এর ২০ মিনিট পর পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীর বাড়ির আশপাশে অবস্থানরত শাহ পরান এবং একই গ্রামের আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান ও অজ্ঞাত ৮-১০ জন ব্যক্তি দরজা ভেঙে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ভুক্তভোগীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করেন এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন। তা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, এ ঘটনা সমাজে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।
ঢাকা/এমআর/রফিক