নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ৫ আগস্টের পর দেশে একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে।

তাদের দায়িত্ব হল দেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু কিছু দল আছে যারা এর আগেও আমাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলন করেছে। তারা এখন আর নির্বাচন চায়না তারা চায় দুর্বল নির্বাচন। 

এই ইসলামী দলসহ কিছু দল গুলোর মাঠ পর্যায়ে ভোট নাই, তারা এখন পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। কারন তারা যানে যদি ভোট হয় তাহলে তারা একটি সিটও পাবে না এবং ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তার জন্যই দেশের ৫৫ টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ ১৪টি দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত সদর থানা বিএনপির আওতাধীন ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেল চারটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টারে ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের ঘোষণা করেছেন। বিএনপি ক্ষমতা আসলে তিনি তা বাস্তবায়ন করবেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান বলেছেন আমরা ক্ষমতায় গেলে একলা দেশ শাসন করবো না।

সব দলকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ পরিচালিত করা হবে। কিন্তু আমাদের সাথে থাকা কিছু দল এখন তার বিরোধিতা করছেন। 

আমাদের আন্দোল সংগ্রামকে তারা ভূলঠিত করতে চাই এবং তারা জুলাই বিপ্লবের অর্জিত স্বাধীনতাকে বিলিং করতে চায়। জুলাই বিপ্লবের সময়ে আমাদের বিরুদ্ধে ৫৫টি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আমাদের বহু নেতাকর্মী গ্রেফতার ও নির্যাতন সহ্য করেছে।

আর আপনারা কেউ কেউ একটি মামলা খেয়ে লাফালাফি করছেন। আর আজকে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে কেউ পার পাবেন না। 

এদেশের মানুষ বিএনপির বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান শীগ্রই দেশে ফিরবেন। তখন দেখবেন দেশের ১০ নাম্বার বিপদ সংকেতের মতন লক্ষ লক্ষ মানুষ তাকে এয়ার পোর্টে স্বাগতম জানাবে। সুতরাং যারা দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে যড়যন্ত্র করছেন আপনারা সাবধান হয়ে যান। সেই সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। 

মহানগর ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড.

শেখ আনজুম আহমেদ রিফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হিরা সরদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডাঃ মজিবুর রহমান, রাশিদা জামাল, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম আহমেদ, আলমগীর হোসেন চঞ্চল, আক্তার হোসেন, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন শেখ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এইচ সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল বেপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল হোসেন প্রমুখ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ষড়যন ত র আম দ র র আহ ব রহম ন সদস য ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করি নির্বাচন এলেই একটি রাজনৈতিক দল তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়।

যারা ফিৎনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই।

তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আজমতে সাহাবা মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে বয়ান করার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এখানে এসেছি বিশিষ্ট আলেম যারা এখানে এসেছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করেনা তারা এখানে আছে।

যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। একারণে আমি এখানে এসেছি। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের নবীর (সাঃ) ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা মওদুদির ইসলামে বিশ্বাস করি না। 

তিনি বলেন, হাসিনার সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ছিল, মুসলিম বিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের নির্যাতন করেছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান হয়েছে আমরা তার সাক্ষী।

আমরা যেন এমন ভাবে রাজনীতি করি যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশে আদর্শিক রাজনীতি কয়েম করবো আমরা।

জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির জুনায়েদ আল হাবীব আল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানসহ হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোনারগাঁয়ের কাইকারটেক হাটে নির্বাচনী প্রচারণায় মামুন মাহমুদ 
  • রূপগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • তারুণ্যের চোখে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার
  • বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন না’গঞ্জ জেলা আঞ্চলিক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
  • দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: দুলু
  • নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
  • অদৃশ্য শক্তি ও ফ্যাসিষ্টরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত খোরশেদ
  • নির্বাচন বাতিলের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান সিপিবির
  • বিদেশ যেতে কেন বাধা দেওয়া হল, প্রশ্ন মিলনের
  • একটি মহল নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ