শাহপরীর দ্বীপ জেটির ‘অবৈধ’ টোল আদায় বন্ধ
Published: 7th, July 2025 GMT
ইজারা না নিয়ে খাস কালেকশন আদায় করে অর্থ লুটপাটের সংবাদ প্রকাশের পর কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের জেটি ঘাটের অর্থ উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। রোববার উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জেটি ঘাটের টোল আদায় বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত ৪ জুলাই সমকালে ‘ইজারা না নিয়েও টোল আদায়ে প্রভাবশালীরা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে ‘খাস কালেকশনের’ নামে অর্থ আদায়ে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আপতত টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে আইনি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে মামলাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট চলতি বছর ইজারা না হওয়ায় খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা পরিষদ। তবে একটি চক্র ইজারা না হলেও তিন মাস ধরে টোল আদায় করে অর্থ নিচ্ছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কক্সবাজারের এক জামায়াত নেতা। এই সুযোগে জেলা পরিষদ কার্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী মোহাম্মদ শাহ আলমকে ইজারাদার সাজিয়ে একটি চক্র টোল আদায় শুরু করে। এরপর শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে চার-পাঁচজন ব্যক্তিকে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে টোল আদায় করতে দেখা দেয়। সেই রসিদেও ইজারাদার হিসেবে শাহ আলমের নাম আছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুরো বিষয়টিই লোক দেখানো। ওই ঘাটের কোনো ইজারা দেওয়া হয়নি। কিন্তু কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন ওই ঘাট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো.
অন্যদিকে জেলা পরিষদের একটি চিঠিতে দেখা যায়, গত ২৬ জুন ‘খাস কালেকশন’ অনুমোদনের নামে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, জেলা প্রশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট নয়টি দপ্তরে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো চিঠি তাদের দপ্তরে পৌঁছায়নি। এতে স্পষ্ট হয়, পুরো প্রক্রিয়াটিই ছিল অবৈধ।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘জেটি ঘাটের বিষয়ে তদন্ত চলমান। অনিয়মের সত্যতা প্রমাণ হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর ইউএনওকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে অবৈধ টাকা উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট ল আদ য় শ হপর র দ ব প জ ট কর মকর ত তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।