Samakal:
2025-09-18@11:22:02 GMT

মিরাজরাই হাসতে চান শেষ হাসি

Published: 8th, July 2025 GMT

মিরাজরাই হাসতে চান শেষ হাসি

প্রেসবক্সে একজন জানতে চান, শেষ কবে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় সিরিজ কভার করতে আসা ওই সাংবাদিকের প্রশ্নের কোথায় যেন শূন্যতা অনুভূত হচ্ছিল। রেকর্ড বুক দেখার পর কেমন খালি খালি লাগছিল। কারণ বাংলাদেশ দলের বর্তমান ওয়ানডে রেকর্ড ভালো না। ২০২৩ সালের ক্রিকেট বর্ষপঞ্জি (জুলাই) থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত যে ছয়টি সিরিজ খেলেছে, তাতে একটি মাত্র জয়। সেটিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতবছর মার্চে দেশের মাটিতে। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। বাকি পাঁচ সিরিজে আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে দুবার করে, আর একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছে। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে ক্যারিবীয়দের কাছে গত বছর হোয়াইটওয়াশই হতে হয়েছে। অথচ ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার আগে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড বেশ ভালো ছিল। এক সিরিজ খারাপ খেললে লড়াই করে ফিরেছে পরের সিরিজে। 

এক বছর পর আবার একটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ের হাতছানি আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে মিরাজরা নিশ্চয়ই এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাইবেন। 

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে শ্রীলঙ্কার এ নান্দনিক ক্রিকেট ভেন্যু বেশ অপরিচিত। ২০১২ সালের টি২০ বিশ্বকাপে প্রথম আর ২০২৩ সালে এখানে শেষ ম্যাচ খেলেছেন মিরাজরা। এই মাঠে একটি ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড আছে টাইগারদের। এক যুগ আগে ২০১৩ সালে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি ডাকওয়ার্থ লুইসের নিয়মে ৩ উইকেটে জিতেছিলেন মুশফিকুর রহিমরা। ইতিবাচক বলতে ওই একটি জয়, বাকি সবই প্রায় নেতিবাচক রেকর্ড। এখানে খেলা শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ১৬৪ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগার বাহিনী। ব্যাটিং স্বর্গেও বড় স্কোর করতে পারেনি। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কান ব্যাটিং কোচ থিলিনা কানদাম্বি সেখানে জানান, এক বছর ধরেই নাকি ব্যাটিং উইকেটে খেলা হয়েছে পাল্লেকেলেতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেও ব্যাটিং উইকেট আশা করছেন তিনি। লঙ্কান ব্যাটিং কোচের চাওয়া পূরণ হলে দুশ্চিন্তা বাড়বে মিরাজদের। কারণ ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের ‘দুঃখ’ই এখন ব্যাটিং। একাধিক জুটি হয় না, ব্যক্তিগত বড় স্কোরও হচ্ছে না। ভালো বোলিংয়ের বিপরীতে কষ্টেসৃষ্টে আড়াইশ রানে যেতে পারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিনশ বা এর কাছাকাছি রানে যেতে পারলেও ম্যাচ জিততে পারেনি। কারণ ওখানে এত বেশি ব্যাটিংবান্ধব উইকেট ছিল যে সাড়ে তিনশ রানও তাড়া করে ফেলার মতো ছিল। বাংলাদেশ ক্যান্ডিতে বড় স্কোর তাড়া বা গড়ার মানসিকতা দেখাতে পারলে ওয়ানডে সিরিজ জেতা সম্ভব বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। 

শ্রীলঙ্কা সফরে এখন পর্যন্ত যে দুটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে, সেখানে বড় স্কোর ছিল না। প্রথমটিতে ২৪৪, দ্বিতীয়টিতে ২৪৮ রান হয়েছে। উভয় ম্যাচে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর ঘটনাও ঘটেছে। সেখানে কানদাম্বির তথ্যমতে ক্যান্ডির এ মাঠের উইকেটে পেস ও বাউন্স ইভেন থাকে। এর অর্থ হলো ব্যাটাররা মানিয়ে নিয়ে টিকে গেলে লম্বা ইনিংস খেলতে পারবেন। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলে বড় ইনিংস খেলার মতো বেশ কয়েকজন ব্যাটার আছেন। মিডলঅর্ডারে অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কাই সেট হলে বড় রান করেন। সেক্ষেত্রে পাল্লেকেলেতে বোলারদের সংগ্রাম করতে হতে পারে। 

বাংলাদেশের বোলিং তুলনামূলক ভালো হওয়ায় শ্রীলঙ্কা ব্যাটিং কৌশলকে বেছে নিতে পারে। অর্থাৎ কিউরেটরকে হয়তো ব্যাটিং উইকেটই বানাতে বলেছিল। কারণ তারা জানে বাংলাদেশের দুর্বলতা ব্যাটিংয়ে। তবে ওপেনিং জুটিতে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের মধ্যে জুটি গড়ে উঠলে এবং নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন পাটোয়ারিরা ভালো করলে তখন রেকর্ড বদলে দেওয়ার সুযোগ থাকবে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিল্ডিং করার সময় উরুর পেশিতে চোট পাওয়া শান্ত শেষ পর্যন্ত না খেললে কপাল খুলতে পারে নাঈম শেখের। পাটোয়ারি গত ম্যাচে ব্যাটিং ও বোলিং– দুই বিভাগে ভালো করায় ছন্দে না থাকা লিটনের এ ম্যাচেও ফেরা হবে না। মেডিকেল প্রোটোকল অনুযায়ী ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ শেষ ওয়ানডেতে খেলবেন, বাদ পড়বেন হাসান মাহমুদ। স্পিন বিভাগ নিয়ে মধুর সমস্যা আছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বাঁহাতি তানভীর ইসলাম সিরিজে ফেরার ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে একাদশে জায়গা পাকা করেছেন। মিরাজ ভালো না করলেও খেলবেন ক্যাপ্টেন্স কোটায়। তাতে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের ফেরার সুযোগ কমে যাবে। অবশ্য পিচের বৈশিষ্ট্যের কারণে দুই পেসার খেলালে রিশাদের সুযোগ হতে পারে। সেই সঙ্গে পাটোয়ারিকে বিকল্প স্পিনার হিসেবে প্রেমাদাসার মতো কাজে লাগাতে পারবেন অধিনায়ক; যদিও ভালো ট্র্যাকে ভালো করতে লাগবে প্রতিষ্ঠিত স্পিনার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বড় স ক র র কর ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হচ্ছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত। এ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ১৩ নভেম্বর থেকে। গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন যেসব শিক্ষার্থী

২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ভর্তির জন্য। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এ-লেভেল, ও-লেভেল ও বিদেশি সনদধারীদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মে সরাসরি ডিন অফিসে বা ই–মেইলে আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
যেসব শিক্ষার্থী গত দুই শিক্ষাবর্ষে (২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪) স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল বা স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেয়েছেন, তাঁরা এই শিক্ষাবর্ষে নতুন করে ভর্তি হতে পারবেন না। তবে পূর্ববর্তী ভর্তি বাতিল করে নতুন শিক্ষাবর্ষে আবেদন করতে পারবেন। একই সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থী দ্বৈত ভর্তি হলে তাঁর উভয় ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে।

আবেদন ফি ৪০০ টাকা

ভর্তি ফি হিসেবে প্রাথমিক আবেদন ফি ৪০০ টাকা, যার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ২৫০ টাকা এবং কলেজের অংশ ১৫০ টাকা। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন ফি ৭২০ টাকা জমা দিতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে অনলাইনে নিশ্চয়ন করবে। তবে নিশ্চয়ন ছাড়া কোনো আবেদনকারীকে মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। আবেদন ফি ১৯ অক্টোবরের মধ্য জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা৪ ঘণ্টা আগে

আবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে কোর্সভিত্তিক মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে। একই মেধা নম্বরপ্রাপ্ত হলে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ (৪০: ৬০ অনুপাতে) এবং প্রয়োজনে মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এরপরও সমতা থাকলে বয়স কম শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রম ধাপে ধাপে প্রথম মেধাতালিকা, দ্বিতীয় মেধাতালিকা, কোটার মেধাতালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তবে এবারও তৃতীয় রিলিজ স্লিপে আবেদন করার সুযোগ থাকবে না।

বিস্তারিত দেখুন এখানে

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সুযোগ পাবেন ৪৮ জেলার যুবরা১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুন১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়াল
  • খেলাপি ঋণে বাংলাদেশ এশিয়ায় কেন শীর্ষে
  • কালচে হয়ে যাচ্ছে মোগল আমলের লালকেল্লা
  • জিল হোসেন মারা গেছেন, আদালতে তাঁর লড়াই শেষ হবে কবে
  • গবাদিপশু থেকে মানুষের শরীরে ‘তড়কা’ রোগ, প্রতিরোধে যা করবেন
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • কীভাবে নেট রান রেট হিসাব করা হয়, সুপার ফোর উঠতে বাংলাদেশের হিসাব কী
  • সোনালী ও রূপালী মুনাফায়, অগ্রণী ও জনতা লোকসানে