হোটেলে আটকে রেখে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেপ্তার
Published: 12th, July 2025 GMT
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে এক শিশুকে (১০) অপহরণের পর একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোরে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে লোহাগাড়া থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই শিক্ষকের নাম বেলাল উদ্দিন। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের শীলখালী সবুজপাড়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে। লোহাগাড়া উপজেলার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন বেলাল। ওই শিশুও একই মাদ্রাসার ছাত্র।
পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে বেলাল উদ্দিন শিশুটিকে মাদ্রাসা থেকে অপহরণ করে চকরিয়া পৌরসভার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করা হবে বলেও শিশুটিকে হুমকি দেন ওই শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা আজ দুপুরে লোহাগাড়া থানায় মামলা করেছেন।
জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অপহরণের আগেও শিক্ষক বেলাল উদ্দিন শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র একট
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।