হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অপু বিশ্বাস
Published: 13th, July 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
অপু বিশ্বাসের আইনজীবী আবুল বাশার কামরুল জানান, গত ২ জুন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান অপু বিশ্বাস। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি বৃহস্পতিবার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করেন। রোববার আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন।
এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি জুলাই আন্দোলেনের সময় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চলতি বছরের মার্চ মাসে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২৮৩ জনকে আসামি করে মামলার আবেদন করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি করা হয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা, রোকেয়া প্রাচী, অপু বিশ্বাস, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, জ্যোতিকা জ্যোতি, নায়ক সাইমন সাদিক, আজিজুল হাকিম, জায়েদ খান, সৈয়দা কামরুন নাহার শাহনুর, তারভীন সুইটি, জাকিয়া মুন, তারিন জাহান, উর্মিলা শ্রাবন্তী করসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীকে।
অভিযোগ করা হয়, আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য বিপুল অর্থ যোগান দিয়েছেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের সরকারকে। গত ১৮ মে গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাত ফারিয়াকে। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০ মে জামিন পান নুসরাত ফারিয়া।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, অভিনয়শিল্পীরা অর্থ জোগানের কাজ করে। তবে মামলায় অন্য অভিযুক্তরা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করেন। তাদের ছোড়া গুলিতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাদী এনামুল হকের ডান পায়ে গুলি লাগে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অপ ব শ ব স
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।
ঢাকা/আজিজ/রফিক