এক বছরে কোনো উপদেষ্টা সম্পদের হিসাব জনসমক্ষে দাখিল করেননি: রাশেদ খান
Published: 24th, July 2025 GMT
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর উপদেষ্টারা বলেছিলেন, প্রতি মাসে তাঁরা নিজ নিজ দপ্তরের কর্মকর্তা ও নিজেদের সম্পদের হিসাব জনসমক্ষে দাখিল করবেন। কিন্তু সরকারের এক বছরে কোনো একটি মন্ত্রণালয় এ হিসাব দাখিল করেনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান তাঁর পোস্টে লিখেছেন, হিসাব দাখিল না করার বিষয়টি নিয়ে যখন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তখন একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, যারা এই সরকারের আমলে টেন্ডার, তদবির, নিয়োগ-বাণিজ্য, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে অর্থ আদায় করেছে, তারা বলতে শুরু করে, আগে নিজের হিসাব দাখিল করেন। এরা সরকারের কাছে কোনো ধরনের জবাবদিহি চাওয়া পছন্দ করে না। কারণ, জবাবদিহি শুরু হলে এদের নাম প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। যেমনভাবে গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের (দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত) নাম বাইরে এসেছে। সরকার এসব নীতিহীনের খপ্পরে পড়েই জবাবদিহিহীন হয়ে পড়েছে।
বিভিন্নভাবে ছায়া সরকারের কথা শোনা যায় বলে উল্লেখ করেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, এরাই (সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, নীতিহীনেরা) সেই ছায়া সরকার চালায়। যখন উপদেষ্টারা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্পদের হিসাব দেওয়া শুরু করবে, তখন এদের মাতবরি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এরা সরকারকে হিসাব দিতে দেয় না। তারা উপদেষ্টাদের বলে, অতীতে কোনো সরকার এ রকম হিসাব দিয়েছে যে আপনারা দেবেন!
অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণ এক বছর সময় দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, এর মধ্যে সেভাবে সমালোচনা, জবাবদিহি চাওয়া হয়নি। কিন্তু রাষ্ট্র চালাতে কেউ বছরের পর বছর সহানুভূতি দেখাবে না। জনগণ এখন থেকে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি চাইবে। এতে সরকারের সুবিধাভোগীরা বিরাগভাজন হলেও করার কিছু নেই।
রাশেদ খান তাঁর পোস্টে লিখেছেন, একই সঙ্গে ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদেশিদের খুশি করতে এই সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, শিগগিরই এর প্রতিবাদে জনগণ মাঠে নামবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ খ ল কর উপদ ষ ট সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে